কানাডাতে ফার্মাসি, ওষুধ ইত্যাদি একটু ভিন্ন রকমের। সমগ্র ইউরোপ আমেরিকা এবং উন্নত দেশে বোধহয় একই রকম ব্যবস্থা। নানা নিয়ম-কানুন আছে বিক্রি-বাটাতে। বাংলাদেশী লোকেরা এখানে উল্লেখিত নামের ওষুধ টাইনানল বলেই উচ্চারণ করে থাকেন। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে মহৌষধের মতো।
টরন্টো শহরে ফার্মাসি বেশকিছু থাকলেও অগণিত নয়। হয়তো লোক সংখ্যার অনুপাতে ঠিকই আছে। চেইন ফার্মাসি শপ ‘শপার ড্রাগ মার্ট’ অন্যতম। ওষুধ ব্যতীত অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসও পাওয়া যায়। প্রচলিত দুটি নিয়ম আছে। যেমন কিছু ওষুধ কিনতে হলে প্রেসক্রিপশন লাগবেই। আরেকটি হলো- ‘ওভার দি কাউন্টার’ অর্থাৎ বিনা প্রেসক্রিপশনে যেগুলি কেনা যায়। টাইনানল, চোখের ড্রপ, ব্যথানাশক মলম, বিভিন্ন ভিটামিন ইত্যাদি ওভার দি কাউন্টার গোত্রীয়। ঘুমের ওষুধসহ বিশেষায়িত ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশনের আওতাভুক্ত। কাউন্টারভুক্ত ওষুধগুলো র্যাকে র্যাকে সাজানো। খুঁজে বের করবেন। তবে স্টাফদের কাছেও সাহায্য পাওয়া যায়। ফার্মাসি এবং ওষুধ সম্পর্কে সামান্য একটু ইঙ্গিত দেয়া গেল মাত্র। আমিও সবটুকু বুঝি না। যাই হোক টাইনানল কিন্তু খুবই ভাল। জ্বর, বেদনা, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, সাইনাস সবকিছুতে কার্যকর। উপাদান কিছুটা ভিন্ন কিন্তু নাম এক। বড়, ছোট সবার জন্য। শিশুদের জন্য সিরাপ। যেমন আমাদের প্যারাসিটামল বা নাপা। তবে টাইনানল অনেক কার্যকর। মনে হয় পরিমাণ মতো উপাদানের জন্য। দিন-রাতের জন্য দুই রঙ। হলুদ এবং নীল ট্যাবলেট। দিনে হলুদ, রাতে নীল। রাতের বেলায় নীল রঙের ট্যাবলেটে সম্ভবত কিছুটা ঘুমের উপাদান দেয়া আছে। ঘুম ভাল হয়। ডায়বেটিস, কোলেস্টরেল ইত্যাদি রোগের ওষুধ এখানে খুব কার্যকর। আমাদের ইউরোম্যাক্স অর্থাৎ টমোসোলিন গ্রুপের ওষুধও খুব ভালো। অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশ থেকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অনেক ধরনের ওষুধ দেশ থেকে নিয়ে আসেন। তাদের ভাষ্যমতে ওইগুলো ভালো কাজ দেয়। বিশেষতঃ ঘুমের ওষুধ অর্থাৎ সেডিল ইত্যাদি। তবে এসবই এখানে প্রেসক্রিপশনভুক্ত। আমার মনে হয় এখানকার ওভার দি কাউন্টারের ওষুধগুলি স্বাস্থ্যের জন্য কোনরূপ ক্ষতি বা ঝুঁকি কারণ হয় না। আমাদের কাছে হামেশা উচ্চারিত অ্যান্টিবায়োটিকের নাম এখানে বিশেষ শুনা যায় না। এটি যদি দেন তাহলে ডাক্তার দেবেন প্রেসক্রিপশন করে। বাইরে তুষারপাত হচ্ছে। যাক এই পর্যন্ত।
[স্বপন কুমার দেব, সিনিয়র আইনজীবী, জজ কোর্ট, সুনামগঞ্জ]