স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ নর্থ-ইস্ট আইডিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, কৃতী শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসনরাজা মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
মেয়র নাদের বখত তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা মানুষকে বিকশিত করে। গাছ যেমন ডালপালা ছড়িয়ে বড় আকার ধারণ করে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। তেমনি শিক্ষা মানুষের অস্তিত্বকে জাগিয়ে তোলে। প্রতিটি স্তরে সেই মানুষের চিহ্ন থাকে যার ভেতর শিক্ষা রয়েছে। আর নৈতিকতা এই শিক্ষাকে উঁচু স্তরে নিয়ে যায়। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করে। তাই আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দৃঢ়তা, আদর্শবাদী মনোভাবে নৈতিকতার স্বরূপ প্রকাশিত হয়।
তিনি আরো বলেন, মানুষের বড় সম্পদ হলো মূল্যবোধ। নৈতিক শিক্ষা মূল্যবোধের কারিগর। সৎ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য। যার ভেতর নৈতিক শিক্ষার গুণগুলো রয়েছে সে দৃঢ়তার সঙ্গে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেন। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং দীক্ষিত হতে হবে। আলোকিত মানুষ হতে হলে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই।
প্রভাষক আল আমিন ও সঞ্চিতা পাল এবং সৌমিত্র চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. চাঁন মিয়া, জেলা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. ফজলুল হক, কলেজের পরিচালক সজল চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট অরুণাভ দাশ সন্দিপ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুমনা দাস।
পরে কলেজের কৃতী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও আমন্ত্রিত অতিথিগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আছদ্দর আলীকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁর বড় ছেলে মোস্তাক আহমেদ রুমেল সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।