বিশ্বের বড় বড় দেশে এবং শহরে এই তিনটি বিষয় বহুল আলোচিত এবং সমস্যা জর্জরিত। অনুন্নত দেশ ও শহরে এ সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। জনজীবনে এই তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ পার্কিং, পিকআপ এন্ড ড্রপ। উন্নত দেশের উন্নত শহর কানাডার টরন্টোতে আছি। এই নগরী এই সমস্যার বাইরে নয়। আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া। দ্বিতীয় কানাডা। আর টরন্টো শহর হিসেবে বিশ্বের ৫ নম্বরে আছে। জনসাধারণের চলার জন্য বাস, পাতাল রেল ইত্যাদি থাকলেও প্রধান বাহন প্রাইভেট কার। সংখ্যায় অগণিত। আলাদা ড্রাইভার নেই। নিজেই চালাতে হয় এবং গ্যাস বা তেল ভরতে হয়। বা দিকে ড্রাইভিং হুইল। সড়ক ও মহাসড়কগুলো বিশাল আকারের। তবে ক্রমবর্ধমান গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পার্কিং ব্যবস্থা কিছুটা কষ্টকর। বিশাল বিশাল সব পার্কিং লট গাড়িতে সয়লাব। বেড়ানোর জায়গাতেও পার্কিং লটে গাড়ি আর গাড়ি। গাড়ি পার্ক করাতেই একাধিক চক্কর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন। জায়গা পেলে ডলার দিয়ে টিকেট কাটা। সময় পেরুলে আবার ঝামেলা। বে-জায়গায় পার্ক করালে পুলিশের টিকেট। চালককে এবং যাত্রীকে অনেক নিয়ম-কানুন জানতে হয়। তবে স্কুলে ও ডাক্তারখানায় পার্কিংয়ের সুবিধা একটু বেশি। পার্কিয়ের পেছনে পেছনে আসে ড্রপ এন্ড পিকআপ। কাউকে পৌঁছে দেওয়া আবার কাউকে তুলে আনা। ড্রপের সময় ঘুরে ঘুরে গাড়ি থামাতে হবে। সব সময় সঠিক জায়গার সামনে গাড়ি থামানোও যায় না। ড্রপ করে চালক চলে যাবে, নয়তো আবার পার্কিং সমস্যা, তেমনি পিকআপ। পিকআপের জন্য নির্দিষ্ট স্থান আছে। চালক এবং যাত্রী দু’জনকেই গেটরেডি অবস্থায় থাকতে হয়। দেরী করা যাবে না। তবে যারা শারীরিকভাবে অসমর্থ্য তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা আছে। যেহেতু এখানে সবকিছু রিসার্চভিত্তিক আশা করা যায় ফলশ্রুতিতে অচিরেই সবকিছু অধিক সহজ হয়ে যাবে। প্রযুক্তি না জানার কারণে ও বিভিন্ন অজ্ঞতার কারণে পুরোনো ঘরানার মানুষদেরও এখানে কষ্ট আছে। নিউইয়র্কসহ সব বড় বড় শহরেই এই অবস্থা।
# ২৫ নভেম্বর ২০১৯খ্রি.
[স্বপন কুমার দেব : সিনিয়র আইনজীবী, জজকোর্ট, সুনামগঞ্জ]