স্টাফ রিপোর্টার ::
অস্থিরতা কাটছে না পেঁয়াজের বাজারে। আমদানি পর্যায়ে সরবরাহ বাড়লেও পণ্যটির দাম অধিকাংশ ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামছে না। খুচরা পর্যায়ে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। শনিবার শহরের বিভিন্ন দোকানে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বললেই চলে।
বিক্রেতারা জানান, মন্ত্রী থেকে গণমাধ্যম, সবাই পেঁয়াজ আমদানির খবর দেয়। কিন্তু সেই পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসছে না। তাহলে এ পেঁয়াজ যায় কই? অথচ প্রশাসন-জনগণ সবাই আমাদের দোষারোপ করে।
ভোক্তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সরকারের নানা উদ্যোগের পরেও স্থিতিশীল হয়নি পেঁয়াজের বাজার। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সংবাদেও কমেনি দাম। এর ওপর বেশি দাম দিয়েও মিলছে না রান্নার প্রয়োজনীয় এ উপকরণ।
দোকানিরা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ নেই। আড়ৎ থেকে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এরপর পরিবহনসহ অনেক খরচ আছে। তাই বাধ্য হয় ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এই হিসাবে গত এক বছরে পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে পাঁচশ ভাগের বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অনেক খুচরা ও মুদি দোকানদার পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
মুদি দোকানদার শরিফ উদ্দিন বলেন, আড়তে পেঁয়াজ কম, মূল্যও বেশি। এ কারণে এখন আর পেঁয়াজ বিক্রি করছি না। কেনা মূল্যেও মানুষ পেঁয়াজ নিতে চায় না। বেশি মূল্যের কথা শুনলে অনেকেই গালি দেন। তাই বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। সারা দিনে ২০ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি হয় না। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের মূল্য কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, টিসিবি’র তথ্য বলছে, এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২০ থেকে ৩০ টাকায়। এই হিসাবে গত এক বছরে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৫৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর গত এক মাসের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির মূল্য বেড়েছে ৮২ দশমিক ৬১ শতাংশ। এক বছরে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৫৪০ শতাংশ।