স্টাফ রিপোর্টার ::
‘সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার বখত নেক ছিলেন ত্যাগী জননেতা। সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর উঠাবসা ছিল। মনোয়ার বখত নেকের মতো একজন সৎ ও সাহসী নেতা বিরল। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান ছিল। তাঁর বাবা হোসেন বখত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ মনোয়ার বখত নেক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন। তাঁর মতো একজন গণমানুষের নেতার অকালে চলে যাওয়াটা পৌরবাসীর জন্য ছিল অপূরণীয় ক্ষতি।’
বৃহস্পতিবার বিকেশে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
একতারা শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ঝন্টু তালুকদার।
সদস্য রোকসানা আক্তার শশী’র সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, লেখক ও কলামিস্ট অ্যাড. হোসেন তওফিক চৌধুরী, প্রফেসর দিলীপ কুমার মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. চান মিয়া, সাবেক সভাপতি কবি ও সাহিত্যিক অ্যাড. রবিউল লেইস রোকেস, শিক্ষাবিদ যোগেশ্বর দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালেহ আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহ আবু নাসের, রাজনীতিবিদ মানজারুল হাসান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, একতারা শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সৈকতুল ইসলাম শওকত প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মনোয়ার বখত নেক-এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।