স্টাফ রিপোর্টার ::
চুরি থেকে ফেরাতে ও চরিত্র সংশোধনের জন্য এলাকাবাসী মো. ফরিদুল ইসলাম কুটিকে ভোট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য পদে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা ধরে রাখতে পারেননি এই ইউপি সদস্য। এবার তিনি ইউপি সদস্য থাকা অবস্থায় সরকারি কাজে ব্যবহৃত ৩টন রড চুরি করে ধরা খেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় রড চুরির দায়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ জানায়, পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কের কাজ কিছু দিন আগে শুরু হয়েছে। বাস্তবায়নকারী এমএম বিল্ডার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠান দরগাপাশা ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে সড়কের একটি ব্রিজ নির্মাণ করছিল। কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠান ব্রিজের জন্য রড এনে মজুদ করে। এই রড ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদুল ইসলাম কুটি ও তার কয়েকজন সহযোগীরা ধাপে ধাপে চুরি করছিল। এ ঘটনায় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ গোপনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জড়িত। বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথপুর এলাকা থেকে মো. ফরিদুল ইসলাম কুটি ও তার সহযোগী সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেনকে ২শ কেজি রডসহ আটক করে। শনিবার আরো ৩শ কেজি রড উদ্ধার করার পর গতকাল রোববার বিকেলে আবারও ইউপি সদস্যের বাড়ির আশপাশের ডোবা থেকে ৩টন রড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এমএম বিল্ডার্সের হিসাব রক্ষক জামাল আহমদ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এদিকে ভোটারদের ভালোবাসার মূল্য না দিতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
দারগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন বলেন, ওই ইউপি সদস্য আমাদের পরিষদের লজ্জা। তার বিরুদ্ধে আগেও চুরির অভিযোগ ছিল। তাকে ভালো করতেই মানুষ ভোট দিয়ে ইউপি সদস্য করেছিল। কিন্তু তার চরিত্র সংশোধন করতে পারেনি। এই ঘটনায় মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদীন জানান, ওই ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে হাতেনাতে ধরেছি। অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চুরি যাওয়া রডও উদ্ধার করেছি।