ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের সড়কে প্রতিপক্ষের ধারালো ছুরির এলোপাতাড়ি আঘাতে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেদী হাসান (১৬) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ওই ছাত্র নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার এ কে খান দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে বারহাট্টা উপজেলার ছালিউড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের (৫৫) সঙ্গে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের (৫৩) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বরা উপস্থিত থেকে নিষ্পত্তি করে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এতে হাবিবুর রহমান ও নজরুল ইসলাম রাজি হন। এ অবস্থায় গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে জমির সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হয় এবং সকাল ১০টার দিকে তা শেষ হয়। গ্রাম্য মাতব্বরা দুই পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টির শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসার মুহূর্তে নজরুল ইসলামের সঙ্গে হাবিবুর রহমানের পক্ষ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সুনই গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে রাব্বী মিয়া (৩০)। এক পর্যায়ে রাব্বী তাঁর প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে রাখা ধারালো ছোরা বের করে নজরুল ইসলামকে আঘাত করতে উদ্যত হলে নিজ মামাকে রক্ষা করতে সেখানে থাকা ভাগ্না মেহেদী হাসান (১৬) এগিয়ে আসে। এ সময় রাব্বী মিয়া তাঁর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে একের পর এক মেহেদী হাসানের কাঁধে ও পেটে আঘাত করলে মেহেদী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় রাব্বী মিয়া সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মেহেদীকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে সাময়িক চিকিৎসা দেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসকেরা মেহেদীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গুরুতর অবস্থায় মেহেদী হাসানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আহত মেহেদী হাসানের মামা নজরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাতে ভাগ্নে মেহেদী হাসান আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আমাকে প্রাণে রক্ষা করতে গিয়ে সে রাব্বী মিয়ার ধারালো ছোরার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।
ধর্মপাশা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ নিয়ে এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।