স্টাফ রিপোর্টার ::
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে নলকূপ দেবার কথা বলে বরিশালের এক প্রতারক সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিকাশে টাকা দাবি করায় বরিশাল র্যাব তাকে আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের ওয়াহেদ সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতারক জোবায়ের হোসেন সুমন নামের ওই প্রতারককে আটক করা হয়। সে বরিশাল শহরের রূপাতলি হাউসিং এলাকার মান্নান খান ও হামিদা খাতুন দম্পতির ছেলে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ওই প্রতারক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দেওয়া শুরু করে। সে প্রতিটি নলকূপ বাবদ ৫ হাজার টাকা করে বিকাশে প্রেরণের জন্য আহ্বান জানায়। এতে বিভ্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের আব্দুন নূর ও শহরের হাছন নগর এলাকার রৌশনারা বেগম প্রতারকের মোবাইল ফোনে ৫ হাজার ২০০ টাকা করে পাঠিয়ে দেন। এভাবে প্রতারক সুমন সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ফোন করে নলকূপ দেওয়ার কথা বলে বিকাশে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানায়। সুনামগঞ্জের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বিষয়টি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে অবগত করলে ও প্রতারকের নম্বর দিলে তিনি জানান, এই নম্বরের কোন কর্মী তাদের নেই এবং এভাবে তারা নলকূপও কাউকে দিচ্ছে না। এরপরেই সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল প্রতারণার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে র্যাবের এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে অবগত করেন। র্যাব প্রতারকের মোবাইল ফোন ট্রেকিং করে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে বরিশাল শহর থেকে আটক করেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, গত সোমবার আমার কাছে বেশ কয়েকজন মানুষ এসে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমরা বলে দিয়েছি আমরা এভাবে বিকাশে টাকা নিয়ে নলকূপ দিচ্ছি না। এই বিষয়টি প্রতারণা হতে পারে বলে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করেছিলাম। আজ শুনলাম ওই প্রতারককে বরিশালে আটক করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন, আমার উপজেলার অনেক চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ফোন করেছিল ওই প্রতারক। নলকূপের নামে ৫ হাজার টাকা করে বিকাশে টাকা চাইছিল। কয়েকজন সরল মনে বিশ্বাস করে টাকা পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। আমি এ বিষয়টি র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর র্যাব বরিশাল থেকে প্রতারককে আটক করেছে।