স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ’কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাক, বাস, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। শনিবার দুপুরে দৈনিক সুনামকণ্ঠ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি মোজাম্মেল হক, জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখলুছ আলী, সদস্য তুরাব আলী, আব্দুল মুমিন, বাস রোড উপ-কমিটির সভাপতি হাজী লায়েক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে সারাদেশে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সাথে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সম্মানিত মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। কিন্তু তাকে নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে কুচক্রীমহল। যার নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকাস্থ ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ওরফে কালা বাচ্চু। পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যলীগ নামে একটি কমিটি করেছে সে। কালা বাচ্চু এক সময় পরিবহন শ্রমিক নেতা ছিল। শ্রমিক নেতা থাকা অবস্থায় সে ফুলবাড়িয়া টার্মিনালস্থ বাস-মিনিবাস, টার্মিনালের উভয় পাশের দোকানদার এবং রাস্তার হকারদের কাছ থেকেও প্রচুর পরিমাণে চাঁদা আদায় করতো। তার চাঁদাবাজিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক, আশে-পাশের দোকানদার এবং হকাররাও অতিষ্ঠ ছিল। এক পর্যায়ে সে ফুলবাড়িয়া টার্মিনালস্থ পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের অপমান, শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। তার এমনসহ কর্মকা-ের ফলে টার্মিনালের শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। বহিষ্কারের পর সে গত ২ বছর যাবত টার্মিনাল দখলসহ পরিবহনে চাঁদাবাজির পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে সে কিছু নামধারী মালিক-শ্রমিক ও সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যলীগ নামে একটি কমিটি গঠন করেছে যার সাথে পরিবহনের প্রকৃত মালিক-শ্রমিকরা কেউই সম্পৃক্ত নয়, সবাই বহিরাগত। সম্প্রতি সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশিষ্ট সড়ক পরিবহন ব্যবসায়ী, স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব, এফবিসিসিআই’র পরিচালক (সিআইপি), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিকদের দেশব্যাপী জাতীয় ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ’র নামে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটাই তার মূল উদ্দেশ্য।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বিগত দিনে ইসমাইল হোসেন বাচ্চু পর পর কয়েকটি খুনের সাথে জড়িত হয়। তার বিরুদ্ধে আদালতে অনেকগুলো মামলা চলমান রয়েছে। চাঁদাবাজ বাচ্চু গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান নেতৃবৃন্দ।