স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া বায়তুল মা’মুর জামে মসজিদের ইমামকে রাখা না রাখা নিয়ে গত ৫ মাস ধরে চলা বিরোধ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলের হস্তক্ষেপে নিরসন হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মধ্যস্থতায় গতকাল শুক্রবার জু’মার নামাজে ইমামতির দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন মাওলানা আনোয়ার হোসাইন। কয়েক মাস পর মসজিদে উৎসবমুখর পরিবেশে জু’মার নামাজ আদায় করতে আসেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জানাযায়, বিরোধ নিষ্পত্তিতে এগিয়ে আসেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল। বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তাদের পক্ষ থেকে মাওলানা আনোয়ার হোসাইনকে শুক্রবার জু’মার নামাজে ইমামতি না করার জন্য বলা হলে ইমামতির দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন তিনি। এতে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়। এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
তেঘরিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মো. ফারুক মিয়া বলেন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইনকে রাখা না রাখা নিয়ে এলাকায় যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এলাকার কৃতী সন্তান নূরুল হুদা মুকুট এবং খায়রুল হুদা চপলের মধ্যস্থতায় শান্তিপূর্ণভাবে নিরসন হয়েছে। শুক্রবার জু’মার নামাজে মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ইমামতি করা থেকে বিরত থাকেন। এই বিরোধ নিরসনে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে কমিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন, তেঘরিয়ায় ইমাম রাখা না রাখা নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় আমি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন সাহেবকে ডেকে এনে এই বিরোধে নিজেকে না জড়াতে বলি। তিনি আমার কথা রেখে ইমামতি করা থেকে বিরত থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে এলাকায় যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল, আশা করছি সবাই তা ভুলে পূর্বের ন্যায় সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে উদ্যোগী হবেন।