1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তাহিরপুরের ওসিকে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানে আদালতের নির্দেশ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ::
পুলিশ কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিতকরণের ঘটনায় কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে না তা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতিকুর রহমানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার তাহিরপুর থানা আমলগ্রহণকারী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানাযায়, গত ১৮ অক্টোবর ‘তাহিরপুরে স্ত্রীকে ফাঁসাতে সন্তান অপহরণ’ শীর্ষক সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সুনামকণ্ঠ, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর ও দৈনিক একাত্তরের কথা পত্রিকায় প্রকাশ হয়। সংবাদের তথ্য অনুসারে আদালত জানতে পারেন- ‘অভিযুক্ত আজিজুর রহমান ওরফে হেকমত আলীর (৫৩)-কে আটকের পর পুলিশ তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনতাসির হাসান আটককৃত আজিজুর রহমানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।’
আদালতের আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়, ছেলেকে নিয়ে অপহরণের নাটক সাজানোর অপরাধে আটক আজিজুর রহমানকে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-এর ৬১ ধারা মোতাবেক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট উপস্থাপন করতে হবে। সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটি একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। এমতাবস্থায়, যথাযথ সময়ের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা না হলে তা দ্য প্যানাল কোড ১৮৬০-এর ৩৪২ ধারা মোতাবেক অবৈধ অবরোধের অপরাধের উপাদান হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া এ সংক্রান্তে পুলিশ আইন ১৮৬১-এর ২৯ ধারা মোতাবেকও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উপরন্তু প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মোতাবেক আটকের পর পুলিশ আটককৃত ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৬(১) ধারা মোতাবেক- “ধারা ৫ এর অধীন ……. তাহার সম্মুখে সংঘটিত বা উদঘাটিত হইয়া থাকিলে তিনি উক্ত অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই আমলে গ্রহণ করিয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, দোষী সাব্যস্ত করিয়া, এই আইনের অধীন নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।” এক্ষেত্রে পুলিশ কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সম্মুখে উপস্থিতকরণ একটি গর্হিত অপরাধ বলে আদালত আদেশনামায় উল্লেখ করেন।
আদেশনামায় আরো উল্লেখ করা হয়, সার্বিক বিবেচনায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মোতাবেক পুলিশ কর্তৃক আটককৃত ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিতকরণ স্পষ্টতই বেআইনি ও গর্হিত অপরাধ বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। ফলে এই ঘটনায় কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে না তা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com