স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমের বখাটে ছেলে সাইদুর রহমান রাজিবের হাতে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হয়েছেন বিশ্বম্ভপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আখতারুজ্জামান আখন্দ। সোমবার দুপুরে দলবল নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে ডাক্তারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সে। কর্তব্যরত ডাক্তারকে চড় থাপ্পর দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যায় রাজিব।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাজিব বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নার্সদের উত্ত্যক্ত করতো। বিভিন্ন সময়ে মাদকদ্রব্য সেবন করেও হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে সে খিস্তিখেউর করতো। তার বখাটেপনার প্রতিবাদ করেন ডাক্তার। এসব কারণে রাজীব ডাক্তারের উপর ক্ষ্যাপা ছিল। সোমবার দুপুরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আবাসিক ডাক্তারের কক্ষে গিয়ে সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তার গায়ে হাত তোলে। থাপ্পর দিয়ে তার কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলে। এসময় সাধারণ জনতার প্রতিরোধের মুখে বখাটে রাজিব পালিয়ে যাওয়ার সময় আইনগত ব্যবস্থা নিলে ডাক্তারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এদিকে, ডা. আখতারুজ্জামান আখন্দকে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুনামগঞ্জ বিএমএ নেতৃবৃন্দ। বিএমএ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম, সাধারণ স¤পাদক ডা. নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক স¤পাদক ডা. সৈকত দাসসহ নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বখাটে রাজিবকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ডা. আক্তারুজ্জামান আখন্দ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাইদুর রহমান রাজিব একজন বখাটে ও মাদকসেবী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে সে সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ সাজুর উপর বিশ্বম্ভরপুর নতুন পাড়ায় অতর্কিত আক্রমণ করেছিল।
এ বিষয়ে রাজিব এবং তার বাবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কেউই কল রিসিভ করেনি।