ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীটি বাদী হয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা ছমির আলী (৩০) ও সেন্টু মিয়া (৩৫)কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই উপজেলার কামলাবাজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও ওই ছাত্রীটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া ওই ছাত্রীটি গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মামার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার জন্য রওয়ানা হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে পথিমধ্যে একা পেয়ে ওই ছাত্রীটির গতিরোধ করে উপজেলার কামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা ছমির আলী। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীটির মুখ চেপে ধরে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছমির আলী তাঁর নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী সেন্টু মিয়ার (৩৫) বসতঘরে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় ছমির আলীকে সেন্টু মিয়া ওই কাজ করতে সহায়তা করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ছমির আলী সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরপরই কামলাবাজ এলাকা থেকে সেন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দু’জন ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।