স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনঃরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ সংলগ্ন মাঠে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এসময় তিনি দুর্যোগ প্রশমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম স¤পর্কে সকলকে অবগত করেন।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশসহ বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য ১১ হাজার ২৭৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয়ভাবে টিভিতে সম্প্রচার অনুষ্ঠান দেখে দুর্যোগ সহনীয় ১১ হাজার ২৭৩টি বাসগৃহের নামফলক উন্মোচন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ঘরের নামফলকের উদ্ধৃতি, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান/টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থায়ণে প্রথম পর্যায়ে এ বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ১৭০টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর আছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।