স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে সম্প্রতি চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা-বাড়ির গ্রিল কেটে, দরোজা ভেঙে টাকা-পয়সা, সোনা-গয়নাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। সম্প্রতি এরকম বেশ কয়েকটি দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। একের পর এক চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর হওয়ার দাবি জানান।
জানা গেছে, সম্প্রতি ষোলঘর এলাকার নন্দী বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোররা ওই বাড়ির মন্দিরে ঢুকে কাঁসার মূল্যবান থালা-বাসন, ঘণ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া ষোলঘর এলাকার সুরমা ২৯নং বাসায়, একটি ওয়েলডিংয়ের দোকানসহ কয়েকটি স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সম্প্রতি হাসননগরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. আব্দুল হকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ঘরের আলমারি ও ওয়ারড্রব ভেঙে ৬ ভরি পরিমাণের স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় এবং বাসার আসবাবপত্রেরও ক্ষতি করে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাজিপাড়ায় লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমানের বাসায় (দোতলায় ভাড়াটে) চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোররা ঘরের দরোজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে কম্পিউটার, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
এদিকে, শনিবার রাতে কালিপুর এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সিলেট জিন্দাবাজার শাখার সহকারি জেনারেল ম্যানেজার সুজাদুল হকের বাসভবনে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোররা ঘরের গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এভাবে সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা।
মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, সম্প্রতি পৌর শহরে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ষোলঘরের ব্যবসায়ী পাপ্পু নন্দী বলেন, আমাদের মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের থালা, বাসন, কাঁসার ঘণ্টাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়াও ষোলঘর এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে যা উদ্বেগজনক।
ব্যাংক কর্মকর্তা সুজাদুল হক বলেন, আমার বাসায় শনিবার রাতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে চোররা গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে ৩ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৩৫ হ্জাার টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। আমি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছি।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, পৌর শহরে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করে কেটে দেন।