1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ষোলঘর স্টেডিয়াম উন্নয়ন : মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের টাকা ফেরতের দাবি

  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ::
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহকুমা ত্রাণ ও পুনর্বাবসন কমিটির একাউন্টে মুক্তিযোদ্ধাদের জমাকৃত টাকা ষোলঘর সরকারি স্টেডিয়াম উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া সংস্থার কাছে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কর্তৃক ‘বেআইনিভাবে’ প্রদান করায় সেই টাকা সুদে-আসলে ফেরতের দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের নিকট টাকা ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।
আবেদনে মালেক হুসেন পীর উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জেলার গোলকপুর বাজারের নিকটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিকট হতে ১৬টি বার্জ ও কার্গোর মালামাল ছিনিয়ে আনেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসের শেষ ভাগে ওই মালামালের একাংশ লঞ্চযোগে ছাতকে নিয়ে যাওয়ার সময় যোগীরগাঁও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে থাকা সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এমএ মোত্তালিবের নির্দেশে লঞ্চে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার পর গুলি বিনিময় হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই লঞ্চে থাকা মালামালসহ ছিনিয়ে আনা সমুদয় মালামাল নিলামে বিক্রি করা করা হয়। ১৯৭২ সালের মে মাসে মালামাল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তৎকালীন মহকুমা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ওবায়দুর রেজা চৌধুরীর নামে অগ্রণী ব্যাংকে হিসাব খুলে জমা রাখা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ওই টাকা দিয়ে মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল জমাকৃত টাকা একটি প্রস্তাবসহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির চেয়ারম্যানের হিসাব থেকে উত্তোলন করে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের নামে ব্যাংকে জমা রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর প্রতিকূল পরিস্থিতির সময় তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক আব্দুল হক গচ্ছিত টাকা থেকে তার একক সিদ্ধান্তে ষোলঘর স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মহকুমা মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ তার উপর চাপ সৃষ্টি করলে ব্যয় করা টাকা সময় ও সুযোগ মতো স্টেডিয়ামের তহবিল হতে ফেরত প্রদানের মৌখিক অঙ্গীকার করেন তিনি। মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের তহবিল থেকে স্টেডিয়ামের উন্নয়নে টাকা ব্যয়ের বিস্তারিত বিবরণ মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আলী ইউনুছ সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধে সুনামগঞ্জ’ গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, মরহুম দেওয়ান ওবায়দুর রেজা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ে সুনামগঞ্জ মহকুমা স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং মরহুম আলফাত উদ্দিন সদস্য সচিব ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে মহকুমা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রইছ, আব্দুজ জহুর, আলী ইউনুছ, আলফাত উদ্দিন আহমদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী প্রমুখ নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার হলে ট্রাস্ট গঠনে প্রতিকূল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। ১৯৭৭ সালে নেতৃবৃন্দ মুক্তি পাওয়ার পর জানতে পারেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা ব্যবহৃত লঞ্চ মালিকদের প্রাপ্য পরিশোধ বাবদ ৮৪ হাজার টাকা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে পাঠিয়ে দিয়েছেন মহকুমা প্রশাসক। আর তার একক সিদ্ধান্তে ষোলঘর স্টেডিয়াম উন্নয়নের জন্য গচ্ছিত টাকা থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালের ৩০ মার্চ মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ জুন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কেএম নাজমুল আলম সিদ্দিকী, দেওয়ান ওবায়দুর রেজা চৌধুরী, মেজর (অব.) ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সামসুল আবেদীন চৌধুরী, আব্দুর রইছ, আব্দুজ জহুর, আলফাত উদ্দিন আহমদ ও আলী ইউনুছকে প্রথম পক্ষ এবং মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট জেলা কমান্ডারকে দ্বিতীয় পক্ষ করে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯১৯ টাকা অগ্রণী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্ট গঠন করা হয়।
মুক্তিসংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে উক্ত টাকা সুদে-আসলে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com