ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী (১৪)কে স্থানীয় বখাটে এক যুবক প্রলোভন ও ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামের সজিব মিয়া (১৮)-কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেছেন।
ওই শিশুটির পরিবার, ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা মেয়েটি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বখাটে ছেলে সজিব মিয়া (১৮) ওই ছাত্রীটিকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পেয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বুধবার সকালে ওই ছাত্রীটি নিজ বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রীটি বখাটে সজিব মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় এসে পৌঁছলে সজিব ওই ছাত্রীটিকে প্রলোভন ও ভীতি দেখিয়ে তাঁর নিজ বসতঘরের বারান্দার কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই কক্ষে সে ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে এগিয়ে গেলে বখাটে সজিব দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ধর্মপাশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির আলী বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নওধার গ্রামের সজিব মিয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামি সজিব মিয়া পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করার জন্য আমরা সর্বরকম চেষ্টা চালাচ্ছি।