স্টাফ রিপোর্টার ::
মুদি ব্যবসায়ী ফেরদৌস মিয়া হত্যা মামলায় সানি মিয়া (৩১) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত সানি মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও কোণাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দাল মিয়ার পুত্র।
অপরদিকে, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত নয় মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় অন্য আসামি সাজ্জাদ মিয়া, মো. নুর আলম, আজম মিয়া ও রবিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আজাদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০০৮ সালের ১৪ জুন রাত সাড়ে সোয়া ৮টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার শিবগঞ্জ রোডের পূর্ব পার্শ্বে শাহরিন ভেরাইটিজ স্টোর নামক মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ফেরদৌসকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়। এ সময় ফেরদৌসের বড় ভাই রাজন মিয়া দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ফেরদৌসের দোকানের চাবি পড়ে থাকতে দেখলে তার সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজি করার পর পাশের ঝোপে ফেরদৌসকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। এ সময় ফেরদৌসের পাশে ধারালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত আবদাল মিয়ার ছেলে সানি মিয়া।
ভাইয়ের খারাপ অবস্থা দেখে রাজন মিয়া তাকে বাঁচাতে গেলে ঘাতক সানি মিয়া তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেরদৌস ও রাজনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে ফেরদৌস মারা যায় এবং রাজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ফেরদৌস ও আহত রাজনের বড় ভাই শাহীন মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ১৫ জুন জগন্নাথপুর থানায় সানি মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, মো. নূর আলম, আজম মিয়া ও রবি’র বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সানি মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।