মোসাইদ রাহাত ::
পার্ক নয় যেন অনৈতিক কার্যকলাপের আখড়া। প্রেমিক-প্রেমিকার পদচারণায় পার্কটি এখন ‘নিরাপদ ডেটিং স্পটে’ পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ।
২০১৩ সালের ৫ জুলাই সুনামগঞ্জ শহরতলির ধারারগাঁও গ্রামের সুরমা নদী তীরবর্তী তিন একর জায়গায় সুরমা ভ্যালি পার্ক নির্মাণ করা হয়। আধুনিকতার ছোঁয়া থাকার কথা থাকলেও পার্কের কয়েকটি স্থানে বসার জায়গা ছাড়া কিছুই নেই।
সুরমা ভ্যালি পার্ক ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কে বসে থাকেন তরুণ-তরুণীরা। তাদের কেউ কেউ প্রকাশ্যে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এদের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল-বিকেল কথিত প্রেমিক-প্রেমিকাদের অনৈতিক কার্যকলাপের পর সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সুরমা ভ্যালি পার্ককে কেন্দ্র করে বসে মাদকের আড্ডা।
ধারারগাঁও এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলী বলেন, সুরমা ভ্যালি পার্কের অবস্থা খুবই খারাপ। পার্কে বসে অনৈতিক কাজ করে কথিত প্রেমিক-প্রেমিকারা। রাতে মাদক সেবন করে বহিরাগতরা। পার্কে বসে ছাতার ভেতর লুকিয়ে খারাপ কাজ করে প্রেমিক যুগল। সবচেয়ে লজ্জার বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরে আপত্তিকর কাজ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে পার্কে নিরাপত্তাপ্রহরী দেয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে অসামাজিক কাজের পাশাপাশি মাদক চলে। সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতরা মাদক সেবন করে। পার্কে বসেই মাদক কেনাবেচা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন, স্কুল চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী পার্কে বসতে পারবে না। এটার জন্য আমরা এখন থেকে অভিযান অব্যাহত রাখব। পার্কে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ করতে দেয়া হবে না। কেউ যেন পার্কে মাদক সেবন করতে না পারে সেজন্য অভিযান চালানো হবে।