1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তালিকা প্রকাশ : সুনামগঞ্জে নদীখেকো ৬৯৬ জন

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ::
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে সারাদেশের নদী দখলদারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী দেশের ৬১ জেলায় দখলদারের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে নদী দখলদারের সংখ্যা ৬৯৬ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সুরমা, কুশিয়ারা, পুরান সুরমা, নলজুর, বোকা নদীসহ অনেক নদীতে আরো হাজারো দখলদার দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী স্থাপনা দখল করে আছে। বিভিন্ন স্থানে নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সকল অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাধীন শহরতলির সুরমা নদীর তীরবর্তী স্থানে অবৈধ দখলদার ১৪ জন। তারা হলেন- বালিকান্দি গ্রামের মোবারক মিয়ার পিতা বাবুল মিয়া, বেরগাঁওয়ের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র সমুজ মিয়া, একই গ্রামের মালিক মিয়া, পার্বতীপুর গ্রামের আলফু মিয়ার পুত্র শান্তি মিয়া, তেরপুর গ্রামের তেরা মিয়ার স্ত্রী ফুলেছা বেগম, বালিকান্দি গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার পুত্র নেছার মিয়া, হালুয়ার ঘাটের মৃত ছইফুলের পুত্র চেরাগ আলী, বালিকান্দি গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের পুত্র ফিরোজ মিয়া, হালুয়ারঘাটের শামছুল হকের পুত্র ছুটুল মিয়া, বালিকান্দি গ্রামের চান মিয়ার পুত্র লোকমান মিয়া, হালুয়ারগাঁওয়ের আক্রম আলীর পুত্র আলী আমজদ, বড়পাড়ার মশ্রম আলীর পুত্র মো. রেনু মিয়া, একই এলাকার মুজিবুর রহমানের পুত্র আজাদ মিয়া।
এছাড়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জে মোট ৪৮ জন নদী দখলদার রয়েছেন। তারা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে লাউয়া নদী দখল করেছেন। অপরদিকে, ছাতকে ১১ জন দখলদারের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। জগন্নাথপুরের নলজুর, টগী ও রতœা নদী দখল করেছেন ১০০ জন। তাদের নাম-ঠিকানাও প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে।
এদিকে, জামালগঞ্জে নদী দখলদারের তালিকায় রয়েছেন ২৯ জন। এছাড়া ধর্মপাশার সুরমা, সুমেশ্বরী নদী, শয়তানখালি খাল, বড়ইয়া নদী ২১৩ জন দখল করেছেন। তাহিরপুরের যাদুকাটা, রক্তি নদী, বৌলাই দখলদার হিসেবে ১১১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। দোয়ারাবাজার কুশিউড়া নদী, মরাচেলা নদী দখলদারের সংখ্যা ১৪২ জন। এছাড়া খাল, বিল ও জলাশয় দখল করেছেন আরো ২৮ জন।
জানা গেছে ওয়ান ইলেভেনের সময় সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর দখলদারদের উচ্ছেদ করে স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে নদী উদ্ধার করেছিল প্রশাসন। পরে আবারও দখলবাজরা দখল করে নেয়। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী প্রতিটি হাট-বাজারেই প্রভাবশালীরা নদী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা করে নিয়েছে। সদর উপজেলার জয়নগর বাজারে নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে উচ্ছেদ মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।
এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের ১৩৯৮৯/২০১৬ নম্বর রিট পিটিশনের আদেশ সুষ্ঠু বাস্তবায়নে জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের এক সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের এ তালিকা জনস্বার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও আহ্বায়ক এবং জেলা নদী রক্ষা কমিটির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ তালিকা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারও কাছে তালিকায় অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে কমিশনকে অবহিত করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য আলাউদ্দিন জানান, চিহ্নিত অবৈধ নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে সব জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারাই এসব দখলদারের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com