স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের হাসন তোরণ এলাকা থেকে সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। মঙ্গলবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনের অভিযানে সড়কের দুই পাশের প্রায় ৪০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। হাসন তোরণ থেকে শহরের আলফাত স্কয়ার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা বানিয়ে দখল করেছে প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হলেও আবারও দখলবাজরা কিছুদিন যেতে না যেতেই দখল প্রতিষ্ঠা করে। কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সরাসরি একটি সভায় দখলদার উচ্ছেদের অনুরোধ জানান এবং লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। সূত্র জানায়, সারাদেশেই সরকারি সম্পত্তি দখলবাজদের থেকে উদ্ধারে নির্দেশনা রয়েছে। এর আলোকে সুনামগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখ হাসন তোরণ এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনের অভিযানে ওয়েজখালি, মল্লিকপুর, নতুন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪০০ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। স্থায়ী স্থাপনাগুলো বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ শহরের হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের মতো অবৈধ স্থাপনা সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিই এর সঙ্গে জড়িত। জায়গা দখল করে তারা আর্থিকভাবেও সুবিধা নিচ্ছে। এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে জনগণের যাতায়াত ও যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। তাই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি ছিল।
মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, কয়েক মাস আগে আমি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সরাসরি এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম। পরে হাতে হাতে লিখিত আবেদনও দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলে সরকারি সম্পদ উদ্ধারের পাশাপাশি রাস্তাঘাটও প্রশস্ত হবে।
সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। প্রথম দিনই প্রায় ৪০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি আমরা। অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা রয়েছে।