স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি’র বাস ও ট্রিপ কমানোর ঘটনায় সুনামগঞ্জ ও সিলেটের যাত্রী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনারকে না পেয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিদুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ জানান। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নেতৃবৃন্দকে এসব বিষয় বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
জানা গেছে, গত রোববার বিভাগীয় শহর সিলেটে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যাত্রী আন্দোলনের কোন নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের প্রভাবে বিভাগীয় কমিশনার দুটি বাস কমানোর পাশাপাশি ট্রিপ কমিয়ে দিনে মাত্র ৪টি ট্রিপ দেবার নির্দেশনা দেন বিআরটিসি’র ডিপো ম্যানেজারকে। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সুনামগঞ্জ-সিলেটের বিশিষ্টজনরা গণবিরোধী এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিআরটিসি’র বাস সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানান। সোমবার রাতে একটি টিভি চ্যানেলেও বুদ্ধিজীবীরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। গণবিরোধী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তারা।
এদিকে জনগণের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সিলেট ও সুনামগঞ্জের নেতৃবৃন্দ। তারা বিভাগীয় কমিশনারকে না পেয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে জনগণের দাবি জানিয়ে আসেন। তারা সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস বৃদ্ধি, ট্রিপ বাড়ানোসহ সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে লাইসেন্স ও পারমিটবিহীন পরিবহন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী রাজ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. চাঁন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শেফু, ইয়াকুব বখত বহলুল, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মনির উদ্দিন, যাত্রী অধিকার আন্দোলনের কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কুবাদ, সাজু আহমদ প্রমুখ।