স্টাফ রিপোর্টার ::
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ধোয়া তুলসি পাতা নয়। কে কি করে সব চলে আসে। কিছু কিছু অফিসে ভূসি সেবা নিতে গেলে হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। সেবার বিনিময়ে টাকা দিতে হয় সংশ্লিষ্টদের। তারা বলেন, টাকা উপরে দিতে হয়। যারা এমন কথা বলে, তারা মিথ্যা বলে। উপরে কোনো টাকা দিতে হয় না। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয় না। ঘুষখোরদের দিন শেষ। তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া হচ্ছে। যারা মানুষকে সেবা না দিয়ে হয়রানি করে ঘুষ খাবেন এমন ‘গরু’ পালনের দরকার নেই। এ পথ থেকে সরে দাঁড়ান। সেবা গ্রহিতার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। কেননা প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাদের টাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়।
রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্বচ্ছ, দক্ষ, জবাদিহি ও জনবান্ধব ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনায় শুদ্ধাচার ও উত্তমচর্চা বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তার ইশতেহারে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদককে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা যাতে দুর্নীতি না করে সেই জন্যে ১২৩ ভাগ বেতনভাতা বৃদ্ধি করেছেন। আমরা ইচ্ছে করলেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল অপবাদ দূর করে ভূমি অফিসকে স্বর্গ বানাতে পারি। ভূমি মন্ত্রণালয়কে আরো গতিশীল করতে অচিরেই ১০ হাজার লোকবল নিয়োগ করা হবে। আমরা জরিপ কাজকে গতিশীল করতে চাই। যাতে জরিপ শুরু হলে দ্রুত শেষ হয়। যার জমি তার নামেই যাতে রেকর্ড হয়। আমরা প্রায় ৪ কোটি খতিয়ান ই-নথিভুক্ত করেছি। যাতে মানুষ সহজে অনলাইনে ঢুকে তার জমির তথ্য পেতে পারেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এমরান হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, সিলেট উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার আব্দুল হাই আল মামুন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সৈয়দ ফারুক আহমদ, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নূরুর রব চৌধুরী প্রমুখ।