মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বাউরকাপন গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে ইজিবাইক (টমটম) গাড়ি চালক সাইদুল ইসলাম (১৭) গত ১১ আগস্ট বিশ্বনাথের বাগিচা বাজার থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার রশিদপুর-কুতুবপুর এলাকা থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাজল দেবনাথ (২৫) নামের ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাছির নগর থানার আতুকুরা গ্রামের গোপাল দেবনাথের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুর নামক স্থানে একটি ভাঙ্গারি কারখানায় চাকরি করতো কাজল দেবনাথ। গত ১১ আগস্ট বিশ্বনাথের বাগিচা বাজার থেকে রশিদপুর যাওয়ার কথা বলে কাজল দেবনাথ ইজিবাইক চালক সাইদুল ইসলামকে ভাড়া নেয়। সেখানে নিয়ে শুধু গাড়িটি ছিনতাই করার জন্য ওইদিনই কাজল দেবনাথ ও তার আরেক সহযোগী মিলে নির্মমভাবে হত্যা করে গাড়ি চালক সাইদুল ইসলামকে। হত্যার পর তার লাশটি রেখে দেয় ভাঙ্গারি গুদামে। কয়েক দিন পর পচন ধরা লাশটি পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর এলাকার খালে ফেলে দেয় ঘাতকরা।
এদিকে, গাড়ি চালক সাইদুল ইসলাম নিখোঁজের ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়েরের পর সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ, থানার এসআই অনিক চন্দ্র দেব ও এসআই গোলাম মুর্শেদ ফাত্তাহ চৌধুরী সহ পুলিশ দল নিখোঁজ গাড়ি চালক সাইদুল ইসলামকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। এক পর্যায়ে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নাছিরনগর থানা এলাকা থেকে ঘাতক কাজল দেবনাথকে চুরি যাওয়া ইজিবাইকসহ গ্রেফতার করেন। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হতভাগ্য গাড়ি চালক সাইদুল ইসলামের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত কাজল দেবনাথ জগন্নাথপুর থানা হাজতে রয়েছে। হাজতে চলছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন।