স্টাফ রিপোর্টার ::
ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সরকারিভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও ডেঙ্গুর পরীক্ষা হাসপাতালে না করিয়ে বাইরে করাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। গত বৃহ¯পতিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সদর হাসপাতালের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পান সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য সরকার সদর হাসপাতালে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০ জন রোগীর ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়েছে। সরকারের দেওয়া ওই টাকায় প্রায় ৬০০ কিটস কেনা হলেও রোগীদের অভিযোগ, ডেঙ্গুর পরীক্ষা সদর হাসপাতালে না করে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। অনুষ্ঠান শেষে তিনি হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় কয়েকজন রোগী জানান, তাঁরা হাসপাতালে এলে বাইরের ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। এ সময় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ এবং বিএমএ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এমপি তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে সিভিল সার্জনের কাছে বাইরে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর কারণ জানতে চান।
অভিযোগ রয়েছে, সদর হাসপাতালের একটি চক্র উন্নত ওষুধ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকরণ রোগীদের না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়। হাসপাতালের স্টোর বিভাগ এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আশুতোষ দাশ বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আমরা ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এই বরাদ্দসহ হাসপাতাল থেকেও ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলছে। তবে এই ঘটনাটি দুঃখজনক। যারা হাসপাতালের বদলে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে রোগীদের বাইরে পাঠিয়ে থাকে, তাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।