মো. শাহজাহান মিয়া ::
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বন্যা কবলিত মানুষের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করছেন এনজিও সংস্থা আশা’র মাঠকর্মীরা। মাঠকর্মীদের চাপের মুখে ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে ও অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে কিস্তি দিতে বাধ্য হচ্ছেন ঋণগ্রহিতারা। এ নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই (নতুনপাড়া) গ্রামের নারীদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করছেন এনজিও সংস্থা আশা’র মাঠকর্মী গিয়াস উদ্দিন। এ সময় হাঁটু পানি মাড়িয়ে সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে মাঠকর্মীর কাছে ছুটে আসেন পানিবন্দি অসহায় নারীরা। তারা কিস্তির টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মাঠকর্মীর কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও কাজ হয়নি। অবশেষে মাঠকর্মীর চাপের মুখে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে ও অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে কিস্তি পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে ঋণ গ্রহিতা নুরজাহান বেগম, রাজমিন আক্তার, মনি বেগম, মনোয়ারা বেগম, লিলি বেগম, আলিমা বেগম, জাহানারা বেগম, হাসনা বেগম, জোসনা বেগম, জেসমিন বেগম, নুরেছা বেগমসহ অন্যান্য নারীরা সরাসরি মাঠকর্মীর সামনেই অভিযোগ করেন। যদিও মাঠকর্মী ক্ষুব্ধ নারীদের কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এনজিও সংস্থা আশা’র মাঠকর্মী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিস্তির টাকা নিচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনার বিষয়টি জানা নেই।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় কোন এনজিও সংস্থা কিস্তি তুলতে পারবে না। এটি সরকারি নির্দেশনা। তা অমান্য করে কেউ কিস্তি উঠালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দুর্যোগ কেটে গেলে তারা কিস্তি তুলতে পারবেন।