স্টাফ রিপোর্টার ::
সংস্কারের এক বছর না যেতেই ভাঙন ধরেছে কাঠইর-জামালগঞ্জ সড়কের হোসেননগর-জয়নগর অংশে। নিম্নমানের কাজের কারণেই বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঠিকাদারদের সিকিউরিটির টাকা জব্দ করে সেই টাকা দিয়ে ভেঙে যাওয়া সড়ক পুনরায় সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে হোসেননগর-জয়নগর সড়ক সংস্কারে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কাজটি পায় মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৮-১০ মাস আগে কাজটি দায়সারাভাবে সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করায় স্থানে স্থানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, হোসেন নগর সেতু থেকে-হোসেননগর-শান্তিপুর মধ্যবর্তী সেতুর দুই দিকেই বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। শান্তিপুর গ্রাম থেকে সরদারপুর পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে একাধিক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কার কাজ শুরুর সময়েই এলাকার মানুষ নিম্নমানের কাজে বাধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তাদের হুমকি ধমকি দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি নজরে আনলেও তারাও রহস্যজনক কারণে নীরব ছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ এলজিইডি ও ঠিকাদার মিলেমিশে এই কাজে দুর্নীতি করেছে। যার ফলে বছর না ঘুরতেই ভেঙে যাচ্ছে সড়কটি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঠইর ইউনিয়নের সন্তান অ্যাডভোকেট মো. বুরহান উদ্দিন বলেন, এক বছরও হয়নি কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই সড়কে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না হওয়ার কারণেই এই সমস্যা হয়েছে।
হোসেন নগর গ্রামের সেলিম বলেন, খুব বাজে কাজ হয়েছে। এলাকার মানুষ বাধা দিলে উল্টো তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়েছি শান্তিপুর-সরদারপুর পর্যন্ত সড়কে কিছু বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার এখনো সিকিউরিটি মানি তুলেনি। তাই তাকে গর্তগুলো ভরে সড়ক সংস্কারের কথা জানিয়েছি।