স্টাফ রিপোর্টার ::
সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই জাতীয় যুব শ্রমিক লীগ নেতা শিবলী সাদিককে শ্রীঘরে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশ মঙ্গলবার ওই নেতাকে আদালতে হাজির করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, আত্মীয়কে ক¤িপউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি না করায় জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা শামসুল ইসলামকে পান্স ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত করেন জাতীয় যুব শ্রমিক লীগ সদর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শিবলী সাদিক। সোমবার দুপুরে শহরের মুক্তারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা হামলাকারী শিবলী সাদিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। হামলায় সংস্থার কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় যুব শ্রমিক লীগ নেতা শিবলী সাদিককে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ে করেছেন আহত শামছুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় যুব শ্রমিক লীগ নেতা শিবলী সাদিক তার এক মহিলা আত্মীয়কে জাতীয় মহিলা সংস্থার ৬ মাসব্যাপী কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি করানোর জন্যে তদবির করে আসছিলেন। সোমবার সকালে সংস্থার জেলা কর্মকর্তা শামছুল হকের মোবাইল ফোনে তার আত্মীয়কে ভর্তি করার তদবির করেন। বিধি মোতাবেক আবেদন করার জন্যে শিবলী সাদিককে বলেন এই সরকারি কর্মকর্তা। আত্মীয়কে প্রশিক্ষণে ভর্তি না করলে এই কর্মকর্তাকে দেখে নিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন শিবলী। দুপুরের দিকে সংস্থার কর্মকর্তা শামছুল হকের ওপর হামলা চালান ওই নেতা। হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন সরকারি এই কর্মকতা।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, হামলার খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে আদালতে নিয়ে গেলে তাকে জেলহাজতে পাঠান বিজ্ঞ বিচারক।