স্টাফ রিপোর্টার ::
আত্মীয়কে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি না করায় জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা শামসুল ইসলামকে অফিসে ঢুকে পান্স ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত করেছেন জাতীয় যুব শ্রমিক লীগ সদর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শিবলী সাদিক। সোমবার দুপুরে শহরের মুক্তারপাড়াস্থ জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালান ওই নেতা। এসময় ওই কর্মকর্তা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা হামলাকারী শিবলী সাদিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। হামলায় সংস্থার কর্মকর্তা শামছুল ইসলাম গুরুতরভাবে আহত হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় যুব শ্রমিক লীগ নেতা শিবলী সাদিক তার এক আত্মীয়কে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ভর্তি করার জন্য সংস্থার জেলা কর্মকর্তার কাছে কয়েকদিন ধরে তদবির করে আসছিলেন। এই কর্মকর্তা তদবিরে কর্ণপাত না করায় হুমকি দিচ্ছিলেন শিবলী সাদিক। এক পর্যায়ে সোমবার দুপুরে আবারো তদবিরের জন্যে যান শিবলী। তার অন্যায় আবদার প্রত্যাখ্যান করায় এই কর্মকর্তার ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন শিবলী সাদিক। পান্স ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা ওই কর্মকর্তার শরীরের একাধিক স্থানে গুরুতর জখম করেন। ওই কর্মকর্তার আর্তচিৎকারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় জনতা। অবস্থা বেগতিক দেখে শিবলী সাদিক পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অপরদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় শামছুল ইসলামকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শামছুল ইসলামের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুব শ্রমিক লীগ সদর উপজেলা কমিটির সহ সভাপতি শিবলী সাদিককে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ মডেল থানার এসআই প্রদীপ বলেন, হামলার খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে শিবলী সাদিককে গ্রেফতার করেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি ফৌজি আরা বেগম শাম্মী বলেন, কার্যালয়ে ঢুকে সরকারি কর্মকর্তার উপর এমন হামলার ঘটনা চরম ধৃষ্টতা। এই প্রতিষ্ঠানে শত শত মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। এই হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা ভোগছেন তারা। তিনি হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।