স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় একটি সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গোরেশপুর গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
অভিযোগে বলা হয়, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের নগদ অর্থ উপবরাদ্দ প্রকল্পের আওতায় দোহালিয়া ইউনিয়নে ৪১নং ক্রমিকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পে রাস্তা পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারি তহবিল থেকে ২৫ জন উপকারভোগীর অনুকূলে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা দিয়ে নামেমাত্র কাজ করে প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্টরা দুর্নীতির মাধ্যমে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। প্রকল্পের শিরোনাম ‘গুরেশপুর ছইর আলীর বাড়ি থেকে ব্রিজের মুখ পর্যন্ত এবং মোহনের বাড়ি থেকে মেইন রোড পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ’ দেওয়া হলেও বাস্তবে গ্রামে ‘ছইর আলী’ ও ‘মোহন’ নামে কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই বলে অভিযোগে জানানো হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নাম ঠিকানা ব্যবহার করা কথা উল্লেখ করা হয় আবেদনে।
অভিযোগে আরো জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে গ্রামের চলাচলের কাচা সড়কের কোন কোন স্থানে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামমাত্র মাটি ভরাট করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে যে ২৫ জন উপকারভোগীর মাস্টাররোল করা হয়েছে তার ষোলআনাই ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে নামমাত্র মাটিভরাটের সময় পার্শ্ববর্তী উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মাটিকাটার শ্রমিকরা এই কাজ করেছেন।
এই অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, আবেদন পাওয়ার পর অভিযোগ তদন্তে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।