1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ : চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জুন, ২০১৯

বাদল কৃষ্ণ দাস ::
জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সদস্যরা। এনিয়ে গত ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১১ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোজাফর মিয়া, ২নং সদস্য হান্নান মিয়া, ৩নং সদস্য আবুল কাশেম, ৪নং সদস্য হানিফ মিয়া, ৫নং সদস্য নূরুল ইসলাম, ৬নং সদস্য হাবিবুর রহমান, ৭নং সদস্য সোহেল মিয়া, ৮নং সদস্য কাদির মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ছমির আলী, ৭-৮-৯নং সংরক্ষিত সদস্যা জ্যোৎ¯œা আক্তার।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২১ মে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চলতি ২০১৯ সনের অদ্যাবধি ইউনিয়নের মাধ্যমে আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্স, বিভিন্ন ট্রেড লাইসেন্সের নামে জমাকৃত টাকা ও খেয়াঘাটের ইজারাকৃত অর্থসহ সকল প্রকার রাজস্ব আয়ের কোন হিসাব দিচ্ছেন না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব। অভিযোগে বলা হয়, সরকারি বিধি মোতাবেক জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন খাতের আদায় করা রাজস্ব ব্যাংকে জমা রাখার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ও সচিব তা করেননি। সকল ওয়ার্ডের সদস্যদের তরফ থেকে সময়ে সময়ে এসব সরকারি টাকা ব্যাংকে জমা করার তাগিদ দিলেও তা করা হয়নি এবং কি পরিমাণ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে তাও কাউকে জানতে দেওয়া হচ্ছেনা।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, অনুমানিক এক লাখ বত্রিশ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা আছে বলে সদস্যরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন। এছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে বহিরাগত কালেক্টর নিয়োগ করেছেন এবং ওই নিয়োগকৃত কালেক্টর চেয়ারম্যান ও সচিবের নির্দেশ মোতাবেক হোল্ডিং ট্যাক্সের আদায়কৃত গ্রাহকের মূল কপিতে অধিক টাকা লিখলেও অফিস কার্বন কপিতে নামমাত্র টাকা উল্লেখ করছেন। এভাবেই পুরো ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতের টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রজব আলী বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন সেটা আমারও অভিযোগ। কারণ, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে ঈদ উপলক্ষে চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রামপুলিশ সবাই তিন মাসের একটা ভাতা নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবং সচিব সমীর কান্তি দে তহবিলের টাকা ব্যাংকে জমা দেবার কথা ছিল। কিন্তু সচিব কোন টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়েই অসুস্থতা জনিত চিকিৎসার্থে দেশের বাইরে চলে যান। পরে অতিরিক্ত দায়িত্বে আসা জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সচিব নূরুল আমিন কর্তৃক বিভিন্ন খাতের আদায়কৃত তহবিল ৯০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে পূর্বের জমাকৃত ৩২ হাজার টাকার হিসাব পাই। সচিব সমীর কান্তি দে খাতা-পত্রে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা বুঝানোর পর আমি সরল বিশ্বাসে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে তাকে বলেছিলাম। কিন্তু কি কারণে তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দেননি তা আমি জানিনা। এখন চিকিৎসা শেষে সচিব কর্মস্থলে ফিরে আসার পর আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো।
ইউনিয়নের সচিব সমীর কান্তি দে অসুস্থতা জনিত কারণে চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, অভিযোগটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com