স্টাফ রিপোর্টার ::
আল-মামুন মার্কেট, সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও আশপাশের এলাকায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পাসপোর্ট আবেদন ফরম ও ছবি বিভিন্ন কাউন্সিলর/প্রভাষক/সরকারি কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতির বিষয়টি আবেদনকারীদের মাধ্যমে শনাক্ত করার বিরুদ্ধে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ আল মামুন মাকের্টে যেতে যেতেই পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ে নিয়োজিতরা সটকে পড়ে। এসময় তিনি তাদের টেবিল ও ড্রয়ার থেকে বিভিন্ন কলেজের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের সত্যায়নের সিলমোহর পান। এ ঘটনায় তিনি মার্কেটের মালিককে ডেকে এনে মার্কেটটি সিলগালা করে দেন।
অভিযান পরিচালনাকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশীদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাজালা পারভীন রুহি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক অর্জুন কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অভিযান পরিচালনাকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্যে আগত আবেদনকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এছাড়া ভুক্তভোগী আবেদনকারীগণ জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা জানান, প্রতিটি ফরম পূরণ করা, সত্যয়ন করা, পাসপোর্ট আবেদনের ফি বাবদ ৩ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারিত ফি’র পরিবর্তে স্থলে ৫ হাজার ৫শ থেকে ৬ হাজার টাকা নেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক গৃহীত অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আল মামুন মার্কেটে অবস্থিত আল-সামন এন্টারপ্রাইজ, রাহিদ ট্রেভলসসহ ৬টি দোকান সিলগালা করাসহ ভুয়া নামাঙ্কিত সীল ব্যবহারকারী ১৭ জনের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ সময়ে ভুয়া নাম স্বাক্ষর দিয়ে যেন ছবি সত্যয়ন না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমার কার্যালয়ের খোলা চত্বরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে রুটিন কাজ করছিলাম। এসময় পাসপোর্ট অফিসের সামনে জটলা দেখে এগিয়ে গিয়ে পাসপোর্ট করতে আসা লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি তাদের কাছ থেকে চালানে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। সাথে সাথে আল মামুন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের জাল সত্যায়নের সিলমোহরসহ বিভিন্ন কাগজ উদ্ধার করি। পরে মার্কেটের মালিককে ডেকে এনে এটি সিলগালা করে দিয়েছি।