বিশেষ প্রতিনিধি ::
গত ১০ মার্চ ‘ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষভাবে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়’ জানিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ভোটগ্রহণের দুইদিন আগে স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। নানা কারণে নির্বাচন স্থগিত করলেও পুরোনো আশঙ্কা এখনো বিদ্যমান বলে মনে করছেন প্রার্থীরা। তারা নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের দাবিতে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধেও বিধিভঙ্গ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত ১০ মার্চ জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ওই সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের পক্ষে বিধি ভেঙে সভা-সমাবেশ করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে নির্বাচনের দুই দিন আগে ৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত করে। এতে হতাশ হন প্রার্থীরা। পরে তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে গত ২১ মে নির্বাচন কমিশন আগামী ১৮ জুন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে। এতে আবার প্রার্থী ও ভোটাররা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা মাঠে গিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতিদিনই তারা নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন।
অন্যদিকে গত ২ জুন স্থানীয় আ.লীগ সংবর্ধনার আয়োজন করে। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদের পক্ষে কৌশলে নির্বাচনী জনসমাবেশ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম বলেন, আমার বিজয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন প্রভাবশালীরা। এখন তারা আমার বিজয়ের গন্ধ পেয়ে বিধি ভেঙে সভা-সমাবেশ করে দান-অনুদান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলেও প্রশাসন নিরপেক্ষ রয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউসুফ আল আজাদ বলেন, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে। তারা নৌকা ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবছেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই নৌকার জয় হবে বলে জানান তিনি।
জেলা নির্বাচন অফিসার মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে।