ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাহুটিয়াকান্দা গ্রামের সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে গত এক সপ্তাহ আগে সড়ক লাগোয়া শয়তানখালি খালে পড়ে গেছে। এ অবস্থায় ওই সড়কটির প্রায় ১২০ফুট জায়গায় ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে জন ও যান চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙনের ফলে সড়কটি সংকুচিত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এছাড়া প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধর্মপাশা- জয়শ্রী সড়কটির দূরত্ব প্রায় ১০কিলোমিটার। এই সড়কটি এলজিইডি’র অধীনে। সড়কটিতে ১৬/১৭বছর আগে ইটের সোলিং নির্মাণ কাজ করা হয়। ওই সময়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাহুটিয়াকান্দা গ্রামের সামনের সড়কের দক্ষিণ পাশে শয়তানখালী খাল সংলগ্ন সড়কটি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় প্রায় ২০০ফুট স্থানজুড়ে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হয়। সড়কটির বেশির ভাগ স্থান ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে পাকাকরণ করা হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের ২ জুন রাতে বাহুটিয়াকান্দা গ্রামের সামনের সড়ক সংলগ্ন প্রতিরক্ষা দেয়ালটির বেশ কিছু স্থান ধসে শয়তানখালি খালে পড়ে গেছে। এতে ওই স্থানটুকুতে সড়কটির প্রায় ১২০ফুট জায়গাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। সড়কটি দিয়ে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, রিকসা, হ্যান্ডট্রলি, ট্রাক, লেগুনাসহ দৈনিক গড়ে চার শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া ধর্মপাশা সদর, জয়শ্রী, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ও আশপাশের বাসিন্দাসহ লক্ষাধিক মানুষকে উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। শুষ্ক মৌসুমে উপজেলাবাসী এই সড়ক দিয়েই সুনামগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটির প্রতিরক্ষা দেয়ালটি ধসে পড়ায় ও সড়কটি ভাঙন দেখা দেওয়ায় সড়কটি সরু হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাহুটিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ মিয়া বলেন, গত ২ জুন রাতে ওই সড়কটিতে থাকা প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে পড়ায় ওই সড়কের প্রায় ১২০ফুট জায়গাজুড়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ না নিলে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। জন ও যান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।
ইজিবাইক চালক সুলতান উদ্দিন বলেন, সড়কটা ভাইংগা যাওয়ায় হত্তিদিনই একসিডেন্ট অইতাছে। এইডা তাড়াতাড়ি ঠিক করণ দরহার।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটিতে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। ভাঙনের কবল থেকে সড়কটি রক্ষায় দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।