জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণকারী শিক্ষক মিশন সেন বাপ্পাকে (২৬) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সে খাশিলা গ্রামের মৃত মলয় সেনের পুত্র।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) প্রাইভেট পড়াতো মিশন সেন বাপ্পা। গত ৪ মার্চ মিশন ও তার আরেক সহযোগী আবদুস সামাদ আজাদ অসহায় পরিবারের মেয়েটিকে জোর করে ছাতক উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে যায় এবং মিশন ও আবদুস সামাদ আজাদ মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ওইদিনই বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। এ সময় ঘটনাটি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেন গ্রামের ৬ মোড়ল।
এদিকে, ঘটনার প্রায় ২ মাস পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সে গর্ভবতী বলে জানানো হয়। তখন ঘটনাটি আবারো ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে মোড়লরা। আবারো ১১ হাজার টাকার বিনিময়ে গর্ভপাত করানোর জন্য মেয়েটির পরিবারকে চাপ দেয়া হয়। পরে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতে শিক্ষক মিশন সেন বাপ্পাকে গ্রেফতার করে শনিবার সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।