মোসাইদ রাহাত ::
শহরে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এ অবস্থায় বুধবার রাতে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- শহরের বাঁধনপাড়া এলাকার ফারুক মিয়া ছেলে আলী রাজ (১৯), ওয়েজখালি এলাকার মো. সেজুল মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (২৭), আব্দুল আলী’র ছেলে আলী নূর, ইব্রাহিমপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে রাজিব মিয়া (২৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক দুইটি মলমের কৌটা ও দুইটি রুমাল উদ্ধার করা হয়।
জানাযায়, এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে টার্গেট করা ব্যক্তিকে চেতনানাশক মলমযুক্ত রুমাল নাকে লাগিয়ে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। ভোরে এবং রাতে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তারা ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায় এবং টার্গেট করা ব্যক্তির নাকে চেতনানাশকযুক্ত রুমাল লাগিয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের শহরের পুরাতন বাসস্টেশন ও নতুন বাসস্টেশন এলাকায় দূরপাল্লার বাসগুলো আসে এবং ছেড়ে যায়। এই বাসগুলোর যাত্রীরাই থাকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের মূল টার্গেটে। বিশেষ করে ভোরের দিকে বেশি সক্রিয় থাকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। ভোরে মানুষের আনাগোনা কম হওয়ায় সহজেই টার্গেট করা ব্যক্তিকে তাদের শিকারে পরিণত করে তারা।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য। তারা চেতনানাশক মলম দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে টাকা পয়সা অলংকার হাতিয়ে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আরো কয়েকজন সঙ্গীর নাম জানা গেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তায় আমরা জোরদার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ জন্য আমাদের পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা সক্রিয় আছেন। তাছাড়া আমাদের বিশেষ অভিযানে মলমপার্টি, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা বাসস্টেশন, লঞ্চঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।