দিন কয়েক আগের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ছাতক উপজেলা সদরে। গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘সুরমা নদীতে বালু ও পাথরবাহী নৌকায় চাঁদা উত্তোলন নিয়ে দুই পক্ষের বন্ধুকযুদ্ধে একজন নিহত এবং ওসিসহ চার পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও ঘটনার ছয়দিন পরও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।’ এই সংবাদ বিবরণীটি যতো সহজে বিদ্যমান সামাজিক বাস্তবতাকে বর্ণনা করেছে সে-সমাজবাস্তবতাটি কিন্তু ততো সহজ নয়। সহজেই বোধগম্য হয় যে, আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘সহজ নয় সমাজবাস্তবতাটি’ বুঝিয়ে দিচ্ছে সমাজটা অরক্ষিত, অবৈধ যাবতীয় কার্যক্রমের আঁতুড়ঘর ও প্রতিকারহীনতার একটি সংস্কৃতি এখানে বিদ্যমান।
প্রথমত বলতে গেলে একটি খণ্ডযুদ্ধ হয়ে গেছে একটি উপজেলা সদরের শহরের কেন্দ্রে। সেখানে সমাজের জনপ্রতিনিধিসহ তাঁর স্বজন-শুভার্থীরা, এমনকি শান্তিরক্ষার কর্তব্যে রত থানার ওসিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন একজন। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘এখনো উদ্ধার হয়নি অবৈধ অস্ত্র’। অবস্থা যখন এমন নাজুক তখন হৃদয়ঙ্গম করতে কোনও অসুবিধা হয় না যে, আমাদের এই সমাজটা কোনও দিক থেকেই প্রকৃতপ্রস্তাবে সুরক্ষিত নয়, এখানে অরক্ষিত সমাজবাস্তবতাই একমাত্র বাস্তবতা।
ওসি সাহেব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেজন্য আমরা দুঃখিত, তাঁর অনতিবিলম্বে সুস্থতা কামনা করি। তাঁর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের সুস্থতাও আমাদের কাম্য। সেই সঙ্গে আমরা সাধারণ মানুষেরা এই অশুভ বাস্তবতা থেকে রেহাই চাই এবং এই অভিমত ব্যক্ত করছি যে, অনতিবিলম্বে ছাতকসহ জেলার যেখানে যতো অবৈধ অস্ত্র আছে সবগুলো উদ্ধারের একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হোক।