দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
সোনালী ব্যাংকের দোয়ারাবাজার শাখায় অর্থ লেনদেনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ওই শাখায় বেতন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, অবসর ভাতা উত্তোলন, ট্রেজারি চালান, ফরেন রেমিটেন্সসহ অন্যান্য কাজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়। তাছাড়া ঈদকে সামনে রেখে লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
জানাযায়, দোয়ারাবাজারের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যা নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম।
গ্রাহকরা জানান, একমাত্র সরু সিঁড়ি বেয়ে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দোতলায় উঠতে হয় গ্রাহকদের। কাজের তুলনায় অপ্রতুল জনবলের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সেখানে। মূল ফটকে প্রতিদিনই শত শত মানুষের ভিড় থাকে। প্রয়োজনীয় কাজে আসা লোকজন বসার জয়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এছাড়া ‘নেট প্রবলেম’সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সোনালী ব্যাংকের দোয়ারাবাজার শাখা।
অন্যদিকে, দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ভবনে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার কার্যক্রম চলায় প্রতিনিয়ত ছাদ ধ্বসে পড়ার আতঙ্কে থাকেন খোদ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকরা। বছর খানেক পূর্বে ছাদের প্লাস্টার ভেঙে আহত হয়েছিলেন ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এরপরে ব্যাংকের শাখা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় শোনা গেলেও বাস্তবতায় আজো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।
ব্যাংকের গ্রাহক ডা. হারুনুর রশীদ বলেন, সোনালী ব্যাংক দোয়ারাবাজার শাখায় সমস্যার অন্ত নেই। এখানে গ্রাহক ভোগান্তি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রাহকরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এই ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী বলেন, সোনালী ব্যাংক দোয়ারাবাজার শাখায় ভোগান্তির শেষ নেই। পদে পদে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সোনলী ব্যাংক লিমিটেড দোয়ারাবাজার শাখার ম্যানেজার বিধু ভূষণ দাস বলেন, ব্যাংকের অবকাঠামোগত সমস্যা ও ছাদের প্লাস্টার ভেঙে পড়ার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই ব্যাংক কার্যালয় নতুন ভবনে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে।