দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাইয়ে নাহিদ মিয়া (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে শ্যামারচর বাজারের ব্যবসায়ী জগলু মিয়ার পুত্র।
এ ব্যাপারে জগলু মিয়া বলেন, রোববার নাহিদ তার পোষাপাখির জন্য পোকা ধরতে বাড়ির পাশে পুকুরের কচুরিপানায় যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে বলে আমাকে বলে সে লিচু খাবে। লিচু খাওয়ার পরই রক্তবমি করতে থাকে। পরে তাকে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পিয়াস দেব তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেট যাওয়ার পথে টুকের বাজার সংলগ্ন এলাকায় নাহিদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
জগলু মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, শ্যামারচর বাজার থেকে আনা লিচু খেয়ে বিষক্রিয়ায় আমার একমাত্র ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টুকেরবাজার থেকে নাহিদের লাশ দিরাই হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া, দিরাই থানার ওসি তদন্ত এবিএম দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, দিরাই অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সর্দারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছুটে যান নাহিদকে দেখতে।
হাসপাতালে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন দিরাই থানার এসআই রূপক কর্মকার ও এসআই দেবপ্রিয় প-িত।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, লাশের ডান হাতের দুটি আঙুলে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। পোকা ধরতে গেলে হয়তো সাপ শিশুটিকে কামড় দিয়েছে। লাশটি সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দিরাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।