সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩৯ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ৩৯ জনের ২২ জনের বাড়িই সিলেট বিভাগে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজ বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নিখোঁজদের তালিকায় রয়েছে সিলেট বিভাগেরই ২২ জন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের দুই জন রয়েছেন। তারা হলেন- নাজির আহমেদ ও মৌলানা মাহবুবুর রহমান। তাদের পুরো ঠিকানা জানাযায়নি।
এছাড়া সিলেট বিভাগের অন্যরা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জের আব্দুল আজিজ, আহমদ, লিটন আহমেদ, বিশ্বনাথের খোকন, মমিন আহমেদ, দিলাল আহমেদ, গোপালগঞ্জের আফজাল হোসেন, কাশেম, সিলেট বাংলাবাজারের জিল্লুর রহমান, সিলেটের কামরান আহমেদ মারুফ, বিশ্বনাথের রোকন আহমেদ, মৌলভীবাজারের হাফিজ শামীম আহমেদ, ফেঞ্চুগঞ্জের আয়াজ আহমেদ, মৌলভীবাজারের বড়লেখার ফাহাদ আহমেদ, বিয়ানী বাজারের সুজন আহমেদ, সিলেটের ইন্দ্রজিত, হবিগঞ্জের মুক্তাদির, বড়লেখার জুয়েল, বিয়ানিবাজারের শোয়েব ও সিলেটের সাজু।
নিখোঁজ অন্যরা হলেন- সাব্বির, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ; আলি আকবর, বাগমারা, শিবচর, মাদারীপুর; জাকির হাওলাদার, শিবচর, মাদারীপুর; মনির, শরিয়তপুর; শাহেদ, রাজৈর, মাদারীপুর; নাইম, রাজৈর, মাদারীপুর; রাজিব, শরিয়তপুর; জালালউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ; পারভেজ, শরিয়তপুর; স্বপন, মাদারীপুর; সজল, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ; জাহিদ, নরসিংদী; আব্দুর রহিম, নোয়াখালী; নাদিম, রাজৈর, মাদারীপুর; নাসির আহমেদ, চাটখালি, নোয়াখালী ও সজিব, মাদারীপুর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, নোয়াখালীর তিন ভাইয়ের একটি চক্র এবং সিলেটের ফ্রড ট্রাভেল এজেন্সিগুলো তাদের পাঠিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এবার একটি শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের কাছ থেকে জানা গেছে, তারা চার থেকে ছয় মাস আগে দুবাই হয়ে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া হয়ে ইতালিতে যাওয়ার জন্য লিবিয়ায় প্রবেশ করেন। তাদেরকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো। যারা আহত হয়েছেন তারা দেশে ফিরতে চাইলে তাদের নিয়ে আসা হবে এবং যেসব বাংলাদেশি নৌকাডুবির ঘটনায় মারা গেছেন, তাদের লাশ স্বজনরা চাইলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।