1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

স্ম র ণ : অ্যাড. আব্দুল মজিদ প্রেরণার বাতিঘর

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ছিলেন একজন আলোর ফেরিওয়ালা। গত ২০ এপ্রিল শনিবার সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাঁর শূন্যতা কখনো কোনোভাবেই পূরণ হবে না।
অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চংগভান্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় হাতিরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক লেখাপড়া শেষ করে হাতিরদিয়া শাহাদাত আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, পরে নরসিংদী কলেজ হতে বিএ পাস করেন। পরবর্তী সময়ে বিএসসি বিএড এবং এলএলবি পাস করে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন।
১৯৬৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। মনোহরদীর হাতিরদিয়ায় তৎকালীন পাকিস্তানি সরকারের ‘মৌলিক গণতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে। ওইদিন হাতিরদিয়া বাজারে আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিলে পাকিস্তানি পুলিশ গুলি করলে আন্দোলনের অন্যতম নেতা মিয়াচাঁন মাস্টারসহ তিন জন মারা যান। ছাত্র-শিক্ষকদের ওই বিক্ষোভ মিছিলে সেদিন আব্দুল মজিদও ছিলেন। পাক পুলিশ কর্তৃক হত্যাকা-ের ঘটনার পরবর্তী সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অভিযুক্ত করা হয় শহীদ আসাদ, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া, ফারুক, অ্যাড. আব্দুল মজিদসহ ২১ জনকে। তৎকালে তিনি ছাত্র থাকাকালে পাক সরকারের রোষানলে পড়ে ঘরছাড়া হন। পালিয়ে এসে বড়ভাই আবাদি কৃষক নেতা আব্দুল আওয়ালের আশ্রয়ে চলে আসেন দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্রামে। পাকিস্তান আমলে এখানে আব্দুল আওয়াল পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। পাকিস্তানি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে তখন আব্দুল মজিদও এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তীতে স্থানীয় টেংরাটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।
১৯৭১ সালে দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি আবার নিজ জন্ম স্থানে ফিরে যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভারতের আগরতলায় ট্রেনিং সম্পন্ন করে পাক হানাদারদের কবল থেকে দেশমাতৃকা রক্ষায় ৩নং সেক্টরে অধীনে মনোহরদী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর ফের তিনি দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলায় সপরিবারে চলে আসেন। পরে সুনামগঞ্জ সদরের রঙ্গারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে আবারো শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি পৈতৃক ভিটা ছেড়ে দোয়ারাবাজারে এসে শিক্ষকতার পেশায় মনোনিবেশ করলেও ফের তিনি নিজ এলাকার রাজনীতির রোষানলে পড়েন। তৎকালীন মনোহরদী আসনের আ.লীগের এমপি গাজী ফজলুর রহমান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে আব্দুল মজিদকে ষড়যন্ত্রমূলক ওই হত্যা মামলায় জড়ানো হয়। পরবর্তীতে মামলায় বেকসুর খালাস হয়ে সত্তর এর দশকে তিনি দোয়ারাবাজারে ফিরে আবারো শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হন।
শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত থেকে তিনি সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা দোয়ারাবাজারে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে তিনি ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। যা বর্তমানে ‘দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের আমৃত্যু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরই আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে পরবর্তী সময়ে উপজেলা সদরের একমাত্র মহাবিদ্যালয় যা বর্তমানে ‘দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন।
প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। শিক্ষক থেকে পরবর্তী সময়ে তিনি আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে ব্যাপকভাবে সফল হয়েছেন। সঙ্গত কারণেই অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার দোয়ারাবাজারবাসীর কাছে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রয়াত অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ১৯৮৯ সালের ২৯ মে সুনামগঞ্জ জেলা জজকোর্টে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। অল্পদিনেই তিনি সুনামগঞ্জের একজন সফল আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। আইন পেশাকে জনসেবা হিসেবে বেছে নেয়ায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে তিনি ব্যাপক পরিচিত এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গেও ছিল তাঁর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। ২০০৯ সাল থেকে ৫ বছর তিনি সুনামগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।
একজন রাজনীতিক হিসেবে অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ছিলেন সফল। তিনি আমৃত্যু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) নির্বাচনী এলাকা হতে জাতীয়পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হতে বর্তমান পর্যন্ত একমাত্র তিনিই দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহত্তর ছাতক থানা থেকে ১৯৭৩ সনে পৃথক দোয়ারাবাজার থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনেও অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টারের অবদান ছিল। তৎকালে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে দোয়ারাবাজার ইউনিয়ন হতে দোয়ারাবাজার পৃথক থানায় উন্নীত করা হয়।
অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মূলত দোয়ারবাজার উপজেলার অকাঠামোগত ও উন্নয়ন রূপরেখা তৈরি হয়েছিল। তাঁর আমলে উপজেলায় প্রথম বিদ্যুতায়নসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পুরো রূপরেখা বাস্তবায়িত হয়। ৫ বছর জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালে দোয়ারাবাজার কলেজ বর্তমানে দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজ, দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা সদরে প্রথম বিদ্যুতায়ন, রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
রাজনৈতিক পরিম-লে অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ছিলেন অগ্রজ। নানা বাধা-বিপত্তির পথ অতিক্রম করে সম্মুখপানে এগিয়ে চলেছিলেন দুর্বার গতিতে। পদে পদে বাধাগ্রস্ত হলেও পেছনে ফিরে তাকাননি কখনো। আপন মহিমায় ভাস্বর ছিলেন তিনি। বলাবাহুল্য যে, আসলেই তিনি একজন ক্ষণজন্মা রাজনৈতিক পুরোধা ছিলেন। এ অঞ্চলের রাজনীতিতে খাপ খাইয়ে ক্রমে ক্রমে নিজের চিন্তা চেতনা এবং মননের বিকাশ ঘটিয়েছেন। তার ব্যক্তি জীবনের রাজনৈতিক পরিসংখ্যান এবং সর্বক্ষেত্রে সফলতাগুলো খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে বাস্তবতায় তিনি ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী।
উল্লেখ্য যে, অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ১৯৮৬ সালে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ছাতক-দোয়ারাবাজার আসন থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে কুড়াল প্রতীকে মাত্র এক হাজার ভোটের ব্যবধানে জাতীয়পার্টির প্রার্থী প্রয়াত আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হাই-এর সঙ্গে পরাজিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি জাতীয়পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে এ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার মো. এহইয়া। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাতক-দোয়ারাবাজার আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৎকালে মাত্র ৪৪৬ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের কাছে পরাজিত হন। একই সনের সালমান এফ রহমানের ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পার্টি’র মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে মাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে তিনি জাতীয়পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ছাতক-দোয়ারাবাজার আসন থেকে মোট ৫ বার সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে লড়াই করেছেন। তন্মধ্যে ১৯৯১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অপরদিকে অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ১৯৮৫ সালে প্রথম দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাহাজ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে গরু গাড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চাকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করে সফল হতে না পারলেও সবসময় তিনি তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বহু প্রতিভার অধিকারী, সজ্জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং কর্মদক্ষ আইনজীবী হিসেবে তিনি বর্ণাঢ্য জীবন অতিবাহিত করেছেন। সঙ্গত কারণেই অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রতিটি মানুষের কাছে ছিলেন একজন আলোর বাতিঘর। সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিম-লে ছিলেন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
২০০৯ সালে জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য তৎকালীন জেলা জাপা’র সভানেত্রী মমতাজ ইকবালের মৃত্যুর পর তিনি জেলা জাতীয়পার্টির হাল ধরেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা জাপা’র সভাপতি নির্বাচিত হন। আমৃত্যু তিনি জাতীয় পার্টির জেলা পর্যায়ের শীর্ষ আসনে সমাসীন ছিলেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সর্বশ্রেণির মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মার সম্পর্ক। সবার নিকট অ্যাড. আব্দুল মজিদ মাস্টার ছিলেন সজ্জন ব্যক্তি। তাঁর হাতেগড়া অনেক শিক্ষার্থী আজ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল।
আমি দীর্ঘদিন এই বরেণ্য রাজনীতিবিদের সংস্পর্শে ছিলাম। তাঁকে সবসময় আমার অভিভাবক মনে করেছি। একজন সংবাদকর্মী হিসেবেও তার কাছ থেকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেতাম সবসময়। ২০১৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম তাঁর কাছ থেকেই। তিনি বলতেন, ‘আমি শিক্ষক থেকে আইনজীবী এবং রাজনীতি করছি। তাহলে তুমি কেন সাংবাদিকতা করেও রাজনীতি করতে পারবে না। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন তাহলে রাজনীতি সমৃদ্ধ হবেই।’ শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলেই তিনি আমাকে খবর দিতেন। ডেকে নিতেন, কাছে বসাতেন। রাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতেন, উপদেশ দিতেন। এমন ¯েœহ আর কারো কাছ থেকে পাইনি, হয়তো আর পাবো না।
আলোকিত মানুষ সজ্জন রাজনীতিবিদ অ্যাড. আব্দুল মজিদ তাঁর কর্মের মধ্যেই আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com