1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আমজনতাকে এতোটা বোকা মনে করবেন না

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

পত্রিকান্তরে প্রকাশ ধর্মপাশা সরকারি কলেজে প্রবেশপত্র উত্তোলনে সরকার নির্ধারিত আদায়ের অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, প্রবেশপত্র নিতে আসা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার জন্যে সরকার নির্ধারিত প্রদেয়র অতিরিক্ত পঞ্চাশ টাকা আদায় করা হচ্ছে, কলেজের মসজিদের টয়লেট নির্মাণের অজুহাতে এবং যারা এই বাড়তি টাকা দিতে পারছে না তাদেরকে প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব কী হচ্ছে এবং এমন অনিয়ম হলে এর প্রতিবিধান কীভাবে ও কার দ্বারা হবে?
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তা বলেছেন যে, তাঁর কাছে অভিযোগ উত্থাপিত হলে তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ঘটনার বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই প্রশাসনিক উত্তরের একটি তাৎপর্য আছে। তাৎপর্যটি এই যে, পত্রিকা প্রতিনিধির মাধ্যমে ঘটনার অবগতিকে কেন্দ্র করে তদন্ত পরিচালনার কোনও নিয়ম হতে পারে না, সেটা সুস্পষ্ট হয়। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকের পরিবেশিত খবর থেকে ঘটনার অবগতি কেন তদন্তের উদ্দীপক হতে পারে না, সেটা বোঝা যায় না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করার বিষয়টি এমন যে, এতে করে যে-কোনও প্রবল প্রতিপক্ষ অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অভিযোগ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হতে পারে এবং আমাদের সমাজে এমনটা হয় প্রতিনিয়ত। এমন হলে তো অভিযোগ পেলে তদন্ত করার নিয়মের আড়ালে সংঘটিত অপরাধ বিচারবহির্ভূত থেকে যাবে চিরদিনের জন্য এবং অপরাধ ঘটতেই থাকবে এবং অপরাধীরা কখনওই শাস্তি পাবে না, সমাজ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।
মসজিদের টয়লেট নির্মাণের জন্য টাকা তোলা কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু টয়লেটটি যদি সরকারি কলেজের হয় তবে সেখানে টয়লেট নির্মাণের খরচ যোগাবে সরকার, জনসাধারণের কেউ নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের ঘাড়ের উপর এই সরকারি কাজের ব্যয়ভার কোন যুক্তিতে চাপাতে যাচ্ছেন, সেটা বোধগম্য নয়। সাধারণ যুক্তিতে এটা মানতেই হবে যে, মসজিদের টয়লেট নির্মাণের জন্য জোর করে টাকা তোলার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাছাড়া পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, নিয়মমাফিক সরকারি কোনও পাওনা নয়, পরীক্ষার্থীর কাছে এমনতর পাওনা সৃজন করে বাড়তি টাকা আদায়ের চাপ দেওয়া কেবল নয়, পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আটকে দেওয়া আইনত একটি অবৈধ কাজ। এই কাজটি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও যুক্তিতেই করতে পারেন না। তাছাড়া এটাও একটি বোধগম্যের অতীত বিষয় যে, টয়লেট নির্মাণের টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের দুরভিসন্ধি কী করে কলেজের উচ্চশিক্ষিত শিক্ষকদের মাথায় আসে? উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার এই কি মহিমা?
প্রশ্ন থেকেই যায়, সরকার কি শিক্ষকদেরকে কলেজের মসজিদের টয়লেট নির্মাণের খরচ ছাত্রদের পকেট কেটে সংগ্রহ করার জন্যে শিক্ষকতার চাকরি দিয়েছে? সরকার পদ্মাসেতু বানাতে পারে আর একটা মসজিদের টয়লেট বানানোর টাকা সরকারের তহবিলে নেই সেটা কোন মূর্খ বিশ্বাস করবে? কলেজ শিক্ষকরা কি মনে করেন, আমজনতা এতোটাই বোকা?
আমরা অতশত বুঝি না। আমরা সহজ বুদ্ধিতে বুঝি ডাল মে কুচ কালা হ্যায় এবং এও আমাদের মনে হয় যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা ও অবস্থানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com