স্টাফ রিপোর্টার ::
ধোপাজান-চলতি নদীতে বালু বোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সদরগড় এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান (২২) সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন সদরগড়ের মৃত সজ্জাদ আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৬৫), মৃত মাছিমের ছেলে আব্দুল হাই (৫৮), গোলজার আহমেদ-এর ছেলে মো. সাত্তার হোসেন (৩৭), মৃত শেরগুল আলীর ছেলে কামাল (৫৫), রনু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) ও আমীরনগরের মৃত জমির আলীর ছেলে আবুল কালম (৬০)।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে ধোপাজান বালু-পাথর মহাল থেকে একটি নৌকায় বালু বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিতে চলতি নদীর সদরগড় এলাকায় যান মিজানুর রহমান। এই সময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই যুবকেরা একপর্যায়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। পরে চাপাতি ও রামদা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এক পর্যায়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নদীর পাড়ে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মিজানুরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন স্থান থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।