সংবাদে প্রকাশ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। উপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে কোনও দেশের কোনও এক নাগরিকের দ্বারা অন্য কোনও নাগরিকের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা অবশ্যই কোনও ভালো খবর নয়। এমন সংবাদ রাষ্ট্রের ভেতরে নাগরিকতা বিকাশের ক্ষেত্রে কোথাও না কোথাও ত্রুটির অস্তিত্বকে নির্দেশ করে। রাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি করে নাগরিকবান্ধব হওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে হয় অর্থাৎ রাষ্ট্রকে হতে হয় রাষ্ট্রের মালিক জনগণের বান্ধব এবং এই রাষ্ট্রনীতির বিকাশের পথ ধরে সকল নাগরিক একে অন্যের বান্ধব হয়ে ওঠে। এটাই সভ্যতা বিকাশের পথে রাষ্ট্রের মানবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রবিকাশের এই প্রাথমিক শর্ত বোধ করি কোনও কালেই অনুসৃত হয়নি। মাৎস্যন্যায় বলে একটা কথা আমাদের বাংলাভাষায় প্রচলিত আছে। প্রাচীনকালে কোনও একসময়ে বাংলাদেশে মাৎস্যন্যায় অবস্থা ছিল। অবস্থাটা অনেকটা এমন যে, জলের তলে বোয়াল যেমন পুটিকে ধরে খায় তেমনি মানুষের সমাজে একটা অরাজক অবস্থা। আজকে যেটা একজন প্রকৌশলীর উপর কোনও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সদলবলে হামলা করেন, প্রকাশ্য দিবালোকে কোনও এক বাজারের মধ্যে। প্রাচীনকালে এই অরাজক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের কোনও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু এখন আছে। শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীলতা ঘোষণা করেছেন। অথচ উপর্যুক্ত ঘটনাটি দুর্নীতিসম্পৃক্ত হাজার হাজার ঘটনার একটি ঘটনা। লুকানোর কোনও প্রয়োজন নেই যে, দেশে এমনটি চলছে। আমরা জানি, সরকার এই অরাজকতাকে নির্মূল করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে এবং সে জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। জঙ্গিবাদ দমনের মতো এইরূপ অরাজকতাকেও দমনে অচিরেই সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এই সফলতার কোনও বিকল্প নেই।
এদিকে বিদগ্ধ মহলে সর্ষের ভেতরে ভূতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকার একদিকে ভূত তাড়াতে ব্যস্ত আছে, অন্যদিকে ভূতেরা সরকারি দলের ছত্রছায়ায় আত্মরক্ষার কৌশল গ্রহণ করে অনুপ্রবেশের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আমরা মনে করি বর্তমান সরকারকে অন্তর্ঘাতের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ সতর্কতা ও নিরসন কার্যক্রম অবলম্বন করতে হবে।