1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

দিরাই ও জগন্নাথপুর কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, ফসলের ক্ষতি

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই ও জগন্নাথপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের পর দু’টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অন্তত ৩০টি খুঁটি ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তাছাড়া ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টিতে দিরাই, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও সদর উপজেলায় সরকারি হিসেবে অন্তত ১০৩০ হেক্টর জমির পাকা বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে দিরাই উপজেলার কালিয়াকোটা ও উদগল হাওরেই অন্তত আড়াই হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জেও কালবৈশাখী ঝড়ে কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আধাঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ে জগন্নাথপুর পৌরশহরের ইকড়ছই, হবিবনগর, ভবানীপুর, যাত্রাপাশা, জগন্নাথপুর, হবিবপুর, কেশবপুর, লুদরপুর, ইসহাকপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়ে অনেক কাঁচা বসতঘর। উড়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ির টিনের চাল। পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জগন্নাথপুরের বিভিন্ন স্থানে গাছ-গাছালি উপড়ে পড়ে। জগন্নাথপুরের বিদ্যুতের ৩৩ হাজার কেভি সংযোগ লাইনে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ঝড়ের সঙ্গে সামান্য শিলাবৃষ্টি হওয়ায় পাকা বোরো ফসলের ক্ষতি হয় বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এদিকে একই সময়ে দিরাই উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। ঝড়ে টিনশেড ঘর, গাছপালাসহ বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলায় অন্তত ২০টি বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সকাল থেকেই বন্ধ আছে। শিলাবৃষ্টিতে এ উপজেলার উদগল ও কালিয়াকোটা হাওরে অন্তত আড়াই হাজার হেক্টর জমির পাকা বোরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রফিনগর, ভাটিপাড়া, জগদল, সুজানগর, করিমপুর, চরনারচরনসহ কয়েকটি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে বিদ্যুতের অন্তত ২০টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিরাই বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ থেকে আসা ৩৩ হাজার কেভি লাইনের খুঁটিসহ বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৩৩ হাজার কেভি লাইনসহ সবগুলো লাইন মেরামত করতে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তা-বে নলুয়া হাওরপাড়ের ভুরাখালি, দাসনাগাঁও, চিলাউড়া, সমদলসহ বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ওড়ে গেছে টিনের চাল। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয় বোরো ফসলের। পাকাধান জমিনেই পড়ে গেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে জগন্নাথপুরের বিদ্যুৎ খুঁটি ও তার ছিঁড়ে গেছে। অসংখ্য গাছ-গাছালি বিদ্যুতের তারে পড়ে আছে। জগন্নাথপুর-সিলেট সংযোগ লাইনে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি স্থানে বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে রয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে কাজ করছি। তবে আজকে (গতকাল) বিদ্যুৎ সংযোগ হয়তো পাওয়া যাবে না।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
দিরাই উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ঝড়ে আমার উপজেলায় কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি হাওরে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বীরগাঁও এলাকায়ও ঝড়ে কয়েকটি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ উপজেলায়ও পাকা বোরো ধান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বশির আহমেদ সরকার বলেন, শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলায় ১০০০ হেক্টর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ২০ হেক্টর এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য উপজেলায় ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com