স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। শয়তানখালিসহ ওই হাওরের কয়েকটি বাঁধে মাটির কাজ বাকি রয়েছে। কয়েকটি বাঁধে এখন ঘাস লাগানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া দিরাই-শাল্লার ফসলরক্ষা বাঁধগুলোর বেশিরভাগ প্রকল্পেরই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটায় ঝুঁকির মুখে আছে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মেয়াদ শেষে প্রথম দফা মেয়াদ বাড়ানোর শেষ দিন আগামী ১৫ মার্চ।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, মাটিয়ান হাওরের শয়তান খালি বাঁধে বেশকিছু স্থানে মাটির কাজ এখনো বাকি আছে। গতকাল মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরাও হাওরের ওই বাঁধ পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছেন। তাছাড়া একই হাওরে অন্য দুইটি প্রকল্পেও মাটির কাজ শেষ হয়নি। অন্যগুলোতে কমপেকশন ও গাছ লাগানো হচ্ছে। পরিদর্শনকালে পাউবো’র কর্মকর্তারা দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে দিরাই-শাল্লায় এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও বেশির ভাগ প্রকল্পেরই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পাউবো। সংশ্লিষ্টদের বারবার এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। তাই টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বাঁধগুলো ঝুঁকিতে থাকবে বলে মনে করেন কৃষকরা।
দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক উরফত উল্লাহ বলেন, আমাদের এলাকার বাঁধগুলো একেবারে গোড়া থেকে মাটি কাটা হয়েছে। যে কারণে বাঁধগুলো ঝুঁকিতে আছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এইসব বাধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের শাল্লা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত সেন বলেন, আমাদের এলাকার প্রতিটি প্রকল্পেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। প্রকল্পের গোড়া থেকে মাটি কেটে বরাদ্দ তছরুপ করা হয়েছে। অথচ নির্ধারিত দূরত্ব থেকে মাটি কেটে বাঁধে ফেলার জন্য পৃথক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ফসলরক্ষা বাঁধগুলো ঝুঁকিতে আছে। তিনি বলেন, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেও কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওরের কয়েকটি বাঁধের কিছু অংশে মাটি ফেলার কাজ চলছে। এই হাওরের অন্য বাঁধগুলোতে এখন ঘাস লাগানো হচ্ছে। তাছাড়া সব বাঁধেই কমপেকশন ও গাছ লাগানোর কাজ প্রায় শেষের পথে।