স্টাফ রিপোর্টার ::
জগন্নাথপুরে ২০ বছর আগে খুন হওয়া তারিফ মিয়া হত্যা মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার খাসিলা গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে নোয়াব আলী, কাচা মিয়া, ছাতক উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের মৃত মান উল্লার ছেলে বাছা মিয়া ও ফটিক মিয়া। এদের মধ্যে দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্যানেল কোডের ৪৪৮ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রায়ের কপি থেকে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৯৯৯ সালের ১৬ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলার খাসিলা এলাকার তারিফ মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে নোয়াব আলী, কাচা মিয়া, তোরন, হিরন, কাহার, বাছা মিয়া ও ফটিক মিয়াসহ আরও ২ থেকে ৩ অজ্ঞাতনামা লোক। এরপর তারা তারিফ মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তারিফ মিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পরদিন তারিফ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন।
রায় প্রদানকালে আদালত পলাতক আসামি কাচা মিয়া ও ফটিক মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করে তাদের সাজা কার্যকর করা ও বাকি ২ আসামি নোয়াব আলী ও বাছা মিয়াকে সাজা পরোয়ানার মূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ ছইল মিয়া বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলা তারিফ মিয়া হত্যা মামলার সুষ্ঠু রায় হয়েছে। এতে নিহতের পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।