মোসাইদ রাহাত ::
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে “আলোকিত সীমান্ত” কর্মসূচির আওতায় সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৪ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বিজিবি জানায়, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশতলা বিওপি’র অধীনে আলোকিত সীমান্ত নামে একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিভিন্ন সময় সীমান্তে সুপারি চুরি, গরু চুরি, মাদক পাচার ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করাসহ ২৪ জনের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা জানায় ওই এলাকার স্থানীরা। এসময় বিজিবির কাছে ওই ২৪ জন আত্মসমর্পণ করে। এসময় ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সুযোগ এবং তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রদান করেন। গেল ৪ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ২৪জনের মধ্যে ১৯ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ইলেকট্রিক কাজের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়ন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে বাঁশতলা বিওপিতে সুনামগঞ্জ বিজিবি-২৮ ব্যাটালিয়নের ব্যবস্থপনায় এবং সিলেট সেক্টর কমান্ডার উপ-মহাপরিচালক লে. কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম পিএসসি ও ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে আলোর পথে ফিরে আসা ২৪ জনকে ট্রাস্ট ব্যাংকে লেনদেন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাছাড়া ২৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিজিবিতে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিষ্ঠিত হওয়া লক্ষ্যে ৩ জনকে নগদ অর্থ প্রদান, ১ জনকে বর্ডার গার্ড বিদ্যালয়ে ১টি পোস্টে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া ১৯ জনকে রেশন সামগ্রী প্রদান করা হয়। তাছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত নুরু মিয়ার স্ত্রীকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা আলাল উদ্দিন বলেন, আমরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবো না। বিজিবি আমাদের নতুন জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। আমরা তাদের প্রতি সম্মান রাখবো।
বিজিবি’র উপ-মহাপরিচালক লে. কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম পিএসসি বলেন, যারা অপরাধ জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। কিন্তু এখনো যারা অপরাধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছেন তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. মাকসুদুল আলম বলেন, আমরা সীমান্তে একটি ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের আয়োজন করি আলোকিত সীমান্ত। এসময় আমাদেরকে কয়েকজন স্থানীয়রা জানান কয়েকজন অপরাধ জগৎ ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান। তাই আমরা আলোকিত জীবন শিরোনামে আমরা ওই ২৪জনকে ফুল দিয়ে স্বাগত করি এবং বর্তমানে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেই।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তে আমরা কখনো অপরাধ চাই না। যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান আমাদেরকে জানালে আমরা তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব। কিন্তু যারা এখনো অপরাধমূলক কার্যক্রমে রয়েছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে।