বিশেষ প্রতিনিধি ::
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্যালট ছিনতাই ও ভোট কেন্দ্র দখলের ঘটনায় ৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সদর উপজেলার বড়পাড়া আব্দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘরিয়া মাদ্রাসা, তাহিরপুরের দীঘলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, আনন্দপুর ও ইয়ারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাঙ্গামার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ফাঁকা। লাইনে কেউ নেই। বিচ্ছিন্নভাবে একজন দু’জন ভোটার বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসছেন। এই কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন ২৩ নম্বর এই কেন্দ্রে ২৮০০ ভোট রয়েছে। ওই সময়ে মাত্র ১৫০টির মতো ভোট কাস্ট হয়েছিল।
ওই ভোট কেন্দ্রের পোলিং অফিসার বিবেকানন্দ দাস রান্টু বলেন, ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কেউ কোন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেনি। প্রশাসনও তৎপর ছিল।
একই উপজেলার শাখাইতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১১টায় গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোনো ভোটার নেই। বুথ থেকে একজন দুজন ভোটার বেরিয়ে আসছেন। মানুষের মধ্যেও নির্বাচনী তেমন আবহ নেই। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জানালেন, ওই সময়ে ১৭০০ ভোটারের ওই কেন্দ্রে মাত্র ২০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। বেলা ১টায় হরিণাপাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ভোটারের উপস্থিতি কম। ওই সময়ে ২৩০০ ভোটারের এই ভোট কেন্দ্রে মাত্র ৭০০ ভোট কাস্ট হয়েছিল। এভাবে অন্যান্য উপজেলার চিত্রও একই রকম।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে ৬টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে ইসি।