সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ‘সুযোগসন্ধানী ও মতলববাজ’ অভিহিত করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে ড. কামালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ সেলিম বলেন, উনি (ড. কামাল) যে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তা কীভাবে বলা যায়।
রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সময় কামাল হোসেন লন্ডনে ছিলেন। জার্মানি থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ড. কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সংবাদ সম্মেলন করতে বলেছিলেন। তিনি সেটা করেননি।
শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার খুনি কর্নেল হুদা ও ড. কামাল হোসেন একটি অনুষ্ঠানে পানি জাতীয় কিছু খাচ্ছিলেন, এই ছবি তার মোবাইলেও আছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পেছনে কারা জড়িত ছিল তা বের করতে একটি কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি।
কামাল হোসেনকে বিএনপির ভাড়াটে নেতা অভিহিত করে শেখ সেলিম বলেন, এতিমের টাকা চুরি করায় খালেদা জিয়া কারাগারে। গ্রেনেড হামলা মামলা ও টাকা পাচার মামলায় দ-িত আসামি তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক। বিএনপি এখন নেতৃত্বশূন্য। তারা একজন পরিত্যক্ত নেতা পেয়েছে। তিনি ড. কামাল হোসেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার জন্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারেক জিয়া লন্ডনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে নাটক করছে দাবি করে তিনি বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে তারচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়ার সঙ্গে একজন আসামির চিকিৎসা এক করা যাবে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নানা অশোভন কটূক্তি করা হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো ও অপরাধ সংঘটন করা হচ্ছে। এসব ঠেকাতে তিনি ফেসবুকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানান।